কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদে বসার পর থেকেই বিদ্যুৎবাবু একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন। এনিয়ে আগেও তাঁকে দিল্লি থেকে তলব করা হয়েছিল বলে বিশ্বভারতী সূত্রে খবর। এবারও ছাত্র আন্দোলন সহ একধিক অধ্যাপককে সাসপেন্ড সহ নানা বিষয়ে বিতর্কের জেরে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে কি না তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে। তবে, উপাচার্য-ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনের জেরে তাঁকে বিভিন্ন হুমকির মুখে পড়তে হয়। সেই সমস্ত তথ্য ও কিছু ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অভিযোগ জানাতে তিনি দিল্লি গিয়েছেন। তবে তাঁর দিল্লি যাওয়ার কারণ যাই হোক না কেন, এটাই শান্তিনিকেতনে বুধবার সকাল থেকে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উপাচার্যের বুধবার আচমকা দিল্লি যাত্রা সম্পর্কে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েব সাইটে মঙ্গলবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। সেই বিজ্ঞপ্তির কপি বিভিন্ন বিভাগের অধ্যক্ষ, বিভাগীয় প্রধান সহ নানা দপ্তরের কর্তাদের পাঠানো হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উপাচার্য ২২ থেকে ২৬সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শান্তিনিকেতনের বাইরে থাকবেন। বিশ্বভারতীর সংবিধান অনুযায়ী উপাচার্যের অবর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণতম অধ্যাপক এই দায়িত্ব সামলাবেন। সেই অনুযায়ী, এদিন শিক্ষাভবনের অধ্যক্ষ অধ্যাপক তারাপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বিজ্ঞপ্তি উপাচার্যের অনুমোদন সাপেক্ষে জারি করা হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর।
বিজ্ঞপ্তি প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশের বক্তব্য, সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলন সহ বিভিন্ন মামলায় উপাচার্য ও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের মুখ পুড়েছে। সমালোচনার মুখে পড়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব বিদ্যুৎবাবুর উপর ক্ষুব্ধ। পাশাপাশি সহকর্মী অধ্যাপকদের তিনি যেভাবে চোর- ধান্দাবাজ বলে কটাক্ষ করে বিতর্ক তৈরি করেছেন সেজন্য কেন্দ্রের বিজেপি সরকার তাঁর ওপর যথেষ্ট রুষ্ট। সম্ভবত সেই কারণে দিল্লির ডাক পেয়ে দিল্লি যাচ্ছেন।
যদিও উপাচার্য-ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, ছাত্র আন্দোলনের জেরে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন তাঁকে হুমকি দিয়েছে। তাতে বিশ্বভারতীতে উপাচার্যের পক্ষে কাজ করা কঠিন হচ্ছে। এর আগে বেশকিছু বৈঠকে তাঁকে ‘কাজ করতে পারছি না’ বলতে শোনা গিয়েছে। এসব যে কেবল তাঁর মুখের কথা নয়, তার প্রমাণ দিতে তিনি বেশ কিছু তথ্য ও ভিডিও সংগ্রহ করেছেন। সেই সব তথ্য নিয়ে দিল্লিতে কেন্দ্র সরকারের কাছে তিনি নালিশ জানাতে গিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ছাত্র আন্দোলনের জেরে শান্তিনিকেতনে অচলাবস্থা কাটাতে উপাচার্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আন্দোলন চলাকালীন বেশ কয়েকবার উপাচার্যের উদ্দেশে তোপ দেগে ছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তবে, উপাচার্য কী কারণে ছ’দিনের জন্য ছুটি নিয়ে দিল্লিতে গিয়েছেন, তা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করেনি। এমনকী, এপ্রসঙ্গে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের কোনও প্রতিক্রিয়াও জানানো হয়নি।