সংবাদদাতা, কান্দি: কান্দি পুরসভা প্রতিবছর দুর্গাপুজোর সময়ে পুজো কমিটিগুলিকে যে আর্থিক অনুদান দিয়ে থাকে এবছর তা দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দিল। অন্য বছর পুজো কমিটিগুলিকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হলেও, এবছর তা দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়াও পুজোর সেরা বিষয়গুলির উপর পুরস্কার দেওয়ার বিষয়টিও নিয়েও এখনও চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ফলে কিছুটা হলেও হতাশ পুজো কমিটিগুলি। যদিও পুজোর সময় পুরসভার বিশেষ পরিষেবা চালু থাকবে।স্থানীয় ও পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর ধরে কান্দি পুরসভা এলাকার সর্বজনীন ও ক্লাবের পুজোগুলিকে আর্থিক অনুদান দিয়ে আসা হচ্ছে। পরিবেশ রক্ষা সহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য ওই অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে। প্রত্যেক পুজো কমিটিকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হতো। গত বছর করোনা পরিস্থিতিতেও আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবছর তা দেওয়া হবে না বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।এমনকী পুরসভা বিভিন্ন বিষয়ের উপর সেরা পুজোর যে তিনটি পুরস্কার দিয়ে থাকে, এবছর সেসব দেওয়া হবে কিনা তাও ঝুলে রয়েছে। পুরসভা থেকে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে কান্দি পুরসভার প্রশাসক দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, পুরসভার আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তাই আমরা এবছর পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক সাহায্য করতে পারছি না। রাজ্য সরকার যে অনুদান দিচ্ছে সেই অনুদান সংগ্রহ করার জন্য আমরা পুজো কমিটিগুলিকে আবেদন করছি। এছাড়াও সেরা পুরস্কার দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি।তবে পুজোর সময় বিভিন্ন বিষয়ে পুর পরিষেবা চালু থাকবে। পুজোর সময় বিশেষ হেল্প লাইন সহ একটি বিশেষ কন্ট্রোলরুম খোলা থাকবে। বিভিন্ন মোড়ে পানীয়জলের গাড়ি রাখা হচ্ছে। পুজোর জন্য স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী রাখা হচ্ছে। শহরের কয়েকটি রাস্তা ওয়ান ওয়ে করা হবে। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য শহরের ভিতরে বড় গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হবে। ছোট গাড়ি ও টোটো চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হবে। শহরে যাতে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যহত না হয় তার জন্য তদারকি করবে পুরসভা।
এদিকে পুজোর অনুদান বন্ধ করে দেওয়ায় কিছুটা হলেও হতাশ এলাকার পুজো কমিটিগুলি। কান্দি বাসস্টান্ড এলাকার বাবন দাস, বাণীসংঘ পুজো কমিটির সদস্য শ্রবণ মণ্ডল, চক পুজো কমিটির সদস্য প্রফুল্ল বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ জানান, করোনা পরিস্থিতির জন্য এবছর পুজোর জাঁকজমক খুব একটা হচ্ছে না বলে জানতে পেরেছি। পুজো কমিটিগুলি আর্থিক অনটনে ভুগছে। এরপর পুরসভা থেকে অনুদান বন্ধ করে দেওয়া হলে, দুর্গাপুজো একেবারে ফিকে হয়ে যাবে।