সংবাদদাতা, রামপুরহাট: বীরভূম জেলা পরিষদের কার্যালয়ে মিলল বিষধর সাপ। এবার সভাধিপতির অফিস ঘরের বাথরুম থেকে উদ্ধার হল একটি গোখরো সাপ। মঙ্গলবার সকালে সাপটিকে কুণ্ডলি পাকিয়ে শুয়ে থাকতে দেখেন অফিস কর্মীরা। পায়ের শব্দ পেতেই সেটি ফণা তোলে। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অফিস কর্মীরা। খবর পেয়ে শহরের সর্প বিশেযজ্ঞ দীনবন্ধু বিশ্বাস এসে সাপটিকে উদ্ধার করেন। তাকে বনদপ্তরের মাধ্যমে অনুকুল পরিবেশে পুর্নবাসন দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। এবারই প্রথম নয়, এর আগেও বেশ কয়েকবার জেলা পরিষদ কার্যালয় থেকে বিষধর সাপ উদ্ধার হয়েছে। কখনও কোনও কর্মীর চেয়ারের পাশ দিয়ে গিয়েছে, কখনও কুণ্ডলী পাকিয়ে শুয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। মাঝেমধ্যেই অফিস চত্বরে ছড়ানো হয় কার্বলিক অ্যাসিড, ফিনাইল। কিন্তু তারপরও সাপের উপদ্রব বাড়ছে। তাতেই কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। যদিও জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, সাপ তো এখন সর্বত্র। জেলা পরিষদ কর্যালয়ের পাশেই জঙ্গল রয়েছে। সেখান থেকেই হয়তো সাপ অফিসে ঢুকেছে। তবে সাপকে অত ভয় করলে তো চলবে না। জানা গিয়েছে, জেলা পরিষদ লাগোয়া জঙ্গলটি নিয়মিত সাফাই না হওয়ায় সাপের ডেরায় পরিণত হচ্ছে।
এব্যাপারে জেলা পরিষদের তৃণমূল প্রভাবিত কর্মচারী সংগঠনের সভাপতি দুলাল সাহা বলেন, অফিসে সাপের উপদ্রব নিয়ে কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। দীনবন্ধুবাবু বলেন, উদ্ধার হওয়া গোখরো সাপটি লম্বায় মাত্র দেড় ফুট। এটি বাচ্চা সাপ। সিউড়ির প্রশাসনিক ভবন চত্বরের জেলা পরিষদ, পূর্তদপ্তর, এসপি, ও ট্রেজারি অফিস লাগোয়া এলাকায় প্রচুর গোখরো সাপ রয়েছে। তাদেরই ফি-বছর বাচ্চা হয়। তারাই নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। প্রায়ই ওইসব এলাকা থেকে সাপ উদ্ধার করি। পরে বনদপ্তরের মাধ্যমে অনুকূল পরিবেশে পুনর্বাসন দেওয়া হয়।