সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম: নিম্নচাপের কারণে টানা বৃষ্টিতে মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন ব্লক ও পুরসভা এলাকায় ভেঙে পড়ল ২৬টি মাটির কাঁচা বাড়ি। সেই সঙ্গে এই ধরনের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫০টিরও বেশি। ভাঙা বাড়ির লোকজনদের নিকটবর্তী স্কুলগুলিতে সরিয়ে আনা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ত্রিপল ও ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিন গোপীবল্লভপুর ১ ব্লকের কদমখণ্ডি গ্রামে দেওয়াল চাপা পড়ে ৭৩ বছরের রাধারানি জানা নামে এক বৃদ্ধা জখম হয়েছেন বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে গোপীবল্লভপুর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এদিন ঝাড়গ্রাম পুরসভার নৃপেনপল্লি এলাকায় দু’টি মাটির কাঁচা বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। এই দু’টি বাড়ির পরিবারকে নৃপেনপল্লি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। নয়াগ্রাম ব্লকের চাঁদাবিলা ও মলম গ্রামপঞ্চায়েতে এদিন দশটি মাটির কাঁচাবাড়ি ভেঙে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই দশটি বাড়ির পরিবারকে স্থানীয় স্কুলগুলিতে আশ্রয় দিয়ে তাঁদের ত্রাণসামগ্রী দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নয়াগ্রামের  বিডিও ঋতুপর্ণা চট্টোপাধ্যায়। গোপীবল্লভপুর ২ ব্লকের তপসিয়া, খাড়বাঁধি ও পেটবিন্ধি এলাকায় ১৪টি মাটির বাড়ি ভেঙে গিয়েছে বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এই ব্লকের বিডিও অর্ঘ্য ঘোষ বলেন, পরিবারগুলি নিকটবর্তী প্রতিবেশীদের কাছে আপাতত আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের ত্রিপল ও খাদ্য সামগ্রী আমরা দিয়েছি। অন্যদিকে, বিনপুর ১ অর্থাৎ লালগড় ব্লকের ১০টি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ৫০টি মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে টানা বৃষ্টিতে এদিন ঝাড়গ্রাম শহরের মূল পাকা রাস্তা,  হাসপাতাল চত্বর ও ১ নম্বর  নম্বর ওয়ার্ডের কদমকানন এলাকা জলমগ্ন হয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন শহরবাসী। একই সঙ্গে গোপীবল্লভপুর ১ ব্লকের  ছাতিনাশোল এলাকা জলমগ্ন হয়। পাশের সামতরঙ্গি বাঁধের উপচে পড়া জল গোপীবল্লভপুর রাস্তা এসে পড়ে। এই ব্লকের সিঙ্গারি খালের জল উপচে পড়ে আলমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তেতুলিয়া গ্রামে প্রবেশ করে। জেলাশাসক জয়সি দাশগুপ্ত বলেন, এই নিয়ে জেলাজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সে রকম পরিস্থিতি হলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।  জলমগ্ন ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল