দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
এবিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় বলেন, যা পরিস্থিতি, তাতে প্লাবিত এলাকায় ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প বন্ধ রাখা ছাড়া অন্য কিছু করার নেই। এলাকার মানুষ যেমন জলবন্দি, তেমনি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীদের অনেকেই জলবন্দি। তবুও আমরা যে সমস্ত এলাকা জলমগ্ন নয়, সেখানে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প করার চেষ্টা চালাচ্ছি। আর যেখানে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প করা সম্ভব নয়, সেখানে পরিস্থিতির উন্নতি হলে ফের ক্যাম্প করা হবে। আপাতত আমরা বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণশিবির এবং অন্যান্য জায়গায় থাকা মানুষজনের প্রাথমিক চিকিৎসার উপর সর্বাধিক জোর দিচ্ছি। প্রসঙ্গত, প্লাবিত এলাকায় উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি অর্ধেকেরও বেশি জলে ডুবে রয়েছে। ভ্যাকসিনেশন তো দূর অস্ত, প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবাও প্রায় বন্ধ। পটাশপুরের গোনাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র যাওয়ার রাস্তায় বুকসমান জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। ভগবানপুরের বিভীষণপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও শিউলিপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ডুবে গিয়েছে। পটাশপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। যে সমস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক নার্সরা কোয়ার্টারে আবাসিক হিসেবে থাকেন, তাঁদের ঠাঁই হয়েছে ত্রাণ শিবিরগুলিতে। এমনই পরিস্থিতি যে, এলাকার বাসিন্দারা জল পেরিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছতে পারছেন না। আবার চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীরাও জল পেরিয়ে যেতে সমস্যায় পড়ছেন। কোথাও কোনও গুরুতর অসুস্থতার খবর পেলে চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্ধারকারী দলের স্পিডবোটে করে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করছেন এলাকার জনপ্রতিনিধিরা। আবার যেখানে সম্ভব নয়, সেখানে স্থানীয় গ্রামীণ চিকিৎসকরাই ভরসা।
এই পরিস্থিতির মধ্যে সোমবার ভগবানপুরের বিভীষণপুর এলাকায় এক সদ্যোজাত অসুস্থ হয়ে পড়ে। জল পেরিয়ে কীভাবে শিশুকে নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাবেন, তা ভেবেই দিশাহারা হয়ে পড়েন শিশুটির মা-বাবা। বিষয়টি জানতে পেরে উদ্যোগী হন ভগবানপুর থানার ওসি নাড়ুগোপাল বিশ্বাস। তিনি স্পিডবোট নিয়ে দ্রুত বিভীষণপুরের তালতলা এলাকায় ওই শিশুর বাড়িতে পৌঁছে যান। উদ্ধার করে মা ও শিশুকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। এরকম নানা পরিস্থিতির মধ্যেই চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার কাজ চলছে বন্যাকবলিত এলাকায়। এগরার মহকুমা শাসক সম্রাট মণ্ডল বলেন, যে সমস্ত এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে, সেখানকার স্বাস্থ্যকেন্দ্র কিংবা হাসপাতালগুলিতে দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা শুরু করতে হবে। সেইমতো আমরা বিএমওইচদের নির্দেশ দিয়েছি।