কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার জয়দীপ রায় বলেন, অক্সিজেন প্ল্যান্টের জন্য প্ল্যান, এস্টিমেট, অনুমোদন সহ সমস্ত কিছুই হয়ে গিয়েছে। এক নাগাড়ে বৃষ্টির জন্য কাজে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। কারণ, প্রথমে প্ল্যান্ট বসানোর জন্য কংক্রিটের বেসমেন্ট ও শেড তৈরি করতে হবে। ওই প্ল্যান্ট আগামী ডিসেম্বর মাস নাগাদ চালু হতে পারে। এখন আপাতত অক্সিজেন সিলিন্ডার ম্যানিফোল্ড সিস্টেমের মাধ্যমে বেডে বেডে অক্সিজেন দেওয়া হবে। এজন্য বড় বড় অক্সিজেন সিলিন্ডার বা অক্সিজেন স্টোরেজ ট্যাঙ্ক বসানো থাকবে। সেখান থেকে অক্সিজেন কম্প্রেসারের মাধ্যমে পাঠানো হবে সিলিন্ডার ফিলিং সেমি-অটো ম্যানিফোল্ডে। এবার ওই অটো মেনিফোল্ড থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে রোগীর বেডে অক্সিজেন পৌঁছবে। ইতিমধ্যেই হাসপাতালের ১৫০টি বেডে পাইপ লাইনে অক্সিজেন পাঠানোর নেটওয়ার্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে। অক্সিজেন ম্যানিফোল্ড সিস্টেমে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ বাকি রয়েছে। পুজোর মধ্যে এটি চালু করার চেষ্টা হচ্ছে। আশা করা যায়, তা সম্ভব হবে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বাচ্চাদের করোনা সংক্রমণের সময়ে শ্বাসকষ্টজনিত চিকিৎসার জন্য পিকু ওয়ার্ড তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। এজন্য ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু বিভিন্ন টালবাহানায় সেই কাজ এখনও শুরু করা হয়নি। হাসপাতালের হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট অর্থাৎ এইচডিইউ-এর সম্প্রসারণ ঘটিয়ে নতুন পিকু ওয়ার্ড চালু হওয়ার কথা। শিল্পশহরে শিশুদের করোনা সংক্রমণের বাড়াবাড়ি ঘটলে কীভাবে তা সামাল দেওয়া হবে, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসকরা জানান, প্রয়োজনে এইচডিইউ-এর ৬টি বেড বাড়িয়ে ১২টি বেড ফেলে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হবে। আপাতত দেখার বিষয়, পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়।
প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় শিল্পশহরে অক্সিজেনের ব্যাপক আকাল দেখা দেয়। বহু মানুষকে অক্সিজেনের অভাবে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়তে হয়। পূর্ব মেদিনীপুরের মধ্যে হলদিয়াতেই করোনা সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি ছিল। এখানে ৭৪ শতাংশ মানুষ সংক্রামিত হয়েছিলেন। সেই কারণেই এবার বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। এদিকে, মহকুমা হাসপাতালে একসঙ্গে দুই অ্যানাস্থেটিস্টের করোনা সংক্রমণ হওয়ায় প্রসূতি বিভাগে সিজারের সমস্যা দেখা দিয়েছে।