দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
গত ২৪ঘণ্টায় জেলায় গড়ে ৩৭.৮মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। তারমধ্যে পাঁশকুড়ায় ৭৪, কাঁথিতে ৫৪, ভগবানপুরে ৪৯, পটাশপুরে ৪০মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এমনিতেই অতিবর্ষণে জেলার প্রায় সর্বত্র বন্যার ছবি। কেলেঘাই নদীর জলে পটাশপুর ও ভগবানপুর প্লাবিত। তার উপর ফের বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্লাবিত এলাকায় খাবার, পানীয় জনের হাহাকার পড়ে গিয়েছে। ভগবানপুর-১ব্লকের বিডিও ১০হাজার ত্রিপল চেয়ে জেলায় চিঠি পাঠিয়েছেন।
গত তিন-চারদিন রাজ্য থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যসামগ্রী, ত্রিপল জেলায় এসেছে। কিন্তু, প্লাবিত এলাকায় সেসব নিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত নৌকার অভাব রয়েছে। জেলা প্রশাসন পার্শ্ববর্তী ব্লক থেকে ৪০টি নৌকা ভগবানপুর, পটাশপুর ও এগরায় পাঠিয়েছে। যদিও ব্লক প্রশাসনের বক্তব্য, ত্রাণসামগ্রী বণ্টনের জন্য আরও নৌকার প্রয়োজন। তাছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণসামগ্রী গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে ঠিকমতো বিলিবণ্টন হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে।ভগবানপুর-১ব্লকের ১০টি পঞ্চায়েতের মধ্যে সবকটি প্লাবিত। ভগবানপুর-২ব্লকের ন’টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ইটাবেড়িয়া ও রাধাপুর পঞ্চায়েত পুরোটাই প্লাবিত। বাসুদেববেড়িয়া ও মুগবেড়িয়া আংশিক প্লাবিত। নতুন করে কেলেঘাই নদীর জল ঢুকছে গড়বাড়ি-২গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। পটাশপুর-২ ব্লকের মথুরা ও আড়গোয়াল পঞ্চায়েতের অবস্থা খুবই খারাপ। মঙ্গলবার এনডিআরএফ টিম মথুরা পঞ্চায়েত এলাকায় উদ্ধারকাজ চালায়। অন্তত তিন হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়। ওই ব্লকের সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে খার জিপি বাদে ছ’টি গ্রাম পঞ্চায়েত জলের তলায়। পটাশপুর-১ ব্লকের চিস্তিপুর-১ ও ২, ব্রজলালপুর, অমর্ষি-১ ও ২গ্রাম এবং বড়হাট পঞ্চায়েতের অবস্থা এখনও খারাপ। ওই ব্লকের নৈপুর, গোপালপুর ও গোকুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এদিন জেলাশাসক পটাশপুর-১বিডিও অফিসে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে বিধায়ক উত্তম বারিক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নমিতা বেরা, বিডিও পারিজাত রায় প্রমুখ ছিলেন। এগরা-১ ও ২ব্লকের বেশকিছু পঞ্চায়েত এখনও জলমগ্ন।
মঙ্গলবার সেচদপ্তরের টেকনিক্যাল টিম তালছিটকিনি গ্রামে কেলেঘাই নদীর ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন। বন্যা মোকাবিলায় ওই নদীবাঁধ এখনই মেরামত করে কেলেঘাইয়ের জল ঢোকা বন্ধ করার দাবিতে সরব হয়েছেন অনেকেই। এব্যাপারে সেচদপ্তরের কাঁথির এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার উত্তম হাজরা বলেন, জলস্তর না কমা পর্যন্ত সেখানে কাজ করা যাবে না। ভাঙন যাতে দু’দিকে না বাড়ে সেজন্য আমরা কাজ করছি। কিন্তু, এখনই ভাঙন এলাকা আটকে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। সেচদপ্তরের তমলুক ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অনির্বাণ ভট্টাচার্য বলেন, কংসাবতী জলাধার থেকে সোমবার রাতে ১০হাজার কিউসেক হারে ও মঙ্গলবার সকাল থেকে আট হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে। এর ফলে নদীতে একটু জল বেড়েছে।