কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মেডিক্যালের এক চিকিৎসক বলেন, ছোট শিশুদের শ্বাসযন্ত্রে এই আরএস ভাইরাস সংক্রমণ করে এবং তার ফলে শ্বাসকষ্ট হয়। এই সময়ে এই রোগের প্রাদুর্ভাবের কারণ হিসাবে বলা যায়, ভাইরাস নিজের চরিত্র পরিবর্তন করে। হঠাৎ বায়ুমণ্ডলে তাপমাত্রার পরিবর্তনের ফলে এই ভাইরাস বাতাসে বেশি পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে। করোনার মতোই উপসর্গ। এতে বড়রাও আক্রান্ত হচ্ছে। বড়দের মাধ্যমে বাচ্চাদের মধ্যে ক্রমেই ছড়াচ্ছে আরএস ভাইরাস। বাচ্চাদের পরিচর্যায় বাড়তি নজরদারি দেওয়ার পরামর্শ দিতে এদিন মেডিক্যালের শিশুবিভাগ ঘুরে দেখেন সিএমওএইচ। বৈঠক করেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুবিভাগে ৪০টি শয্যা রয়েছে। অথচ রোগী ভর্তি রয়েছে প্রায় ৮০ জন। ফলে একটি শয্যায় দু’টি করে শিশু রয়েছে। সমস্যার সৃষ্টি হওয়ায় এদিন আরও ১০টি শয্যা বাড়ানো হয়েছে। এমএসভিপি বলেন, এর মধ্যে ২০ জন শিশু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। বাকিরা ডায়েরিয়া সহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত। স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত চার শিশু ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠছে। অন্যদিকে সিএমওএইচ বলেন, একটি জায়গা থেকে বেশি সংখ্যক জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শিশুরা ভর্তি হচ্ছে কিনা বা তাদের লক্ষণ কী সেটা জানতেই এই পরিদর্শন। কিন্তু দেখা গেল, ২০ জন জ্বরে আক্রান্ত শিশু ভিন্ন ভিন্ন এলাকার। একটি জায়গা থেকে বেশি সংখ্যক কেস এলে করোনার মতো তাদের নমুনা সংগ্রহ করে নাইসেডে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। বয়স্ক যাঁরা সর্দিকাশিতে ভুগছেন তাঁদের থেকে দু’বছরের শিশুদের আইসোলেট করে রাখতে হবে। নইলে বড়দের থেকে এই ভাইরাস ছড়াবে। তিনি বলেন, ফিল্ড লেভেলে বাড়ি বাড়ি ঘুরে শিশুদের খোঁজখবর নিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ব্লক হাসপাতালগুলিতেও দু’-তিনজন করে শিশু ভর্তি হচ্ছে। তাই ব্লকস্তরে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে র্যাপিড রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। একটি এলাকায় দশের অধিক শিশু জ্বরে আক্রান্ত হলে ওই টিম মাঠে নেমে পড়বে। তিনি বলেন, স্ক্রাব টাইফাস চিহ্নিত করতে মেডিক্যালে ৯৬টি কিট দেওয়া হয়েছে। অভিভাবকদের বলব, দু’-তিন হাজার খরচ করে স্ক্রাব টাইফাস পরীক্ষা বাইরের ল্যাবে করবেন না। মেডিক্যালে বিনামূল্যে এই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। জ্বর, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, খিঁচুনি ইত্যাদি স্ক্রাব টাইফাসের অন্যতম লক্ষণ। এমনটা হলে দ্রুত শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করান।