কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রসঙ্গত, বিগত দশ মাস ধরে কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে পথে নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন কৃষকরা। দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানায় কৃষক আন্দোলনের দাপটে কেন্দ্রীয় সরকারের নাভিশ্বাস ওঠার উপক্রম। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও কৃষক আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা বাংলায় এসেছিলেন। তাঁরা বাংলার চাষিদের এই আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। লক্ষ্য ছিল, দেশজুড়ে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে এসেছেন। কৃষক আন্দোলনের নেতা রাকেশ টিকায়েতও নিজে এসে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে ছিলেন। ভোট মিটতেই বাংলার চাষিদের আন্দোলনমুখী করার দায়ভার কাঁধে তুলে নিয়েছে দলের শীর্ষ নেতারা।
এদিনের সভা থেকে কৃষক আন্দোলনের পাশাপাশি সারের দাম বৃদ্ধি ও কেন্দ্রের নানা কৃষক বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে জেলার চাষিদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান নেতারা।
পাশাপাশি কেন্দ্রের কিষান সম্মান নিধি যোজনার তুলনায় রাজ্য সরকারের কৃষক বন্ধু প্রকল্প কতটা জনকল্যাণমুখী সেই খতিয়ানও তুলে ধরা হয়। জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান জেলায় কৃষকবন্ধু প্রকল্পে প্রথম দফায় চার লক্ষ ৩৭ হাজার জন চাষিকে আনা হয়েছিল। নতুন করে আরও ৫৭ হাজার চাষি এই প্রকল্পের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। যার মধ্যে ৪৫ হাজার আবেদন অনুমোদন পেয়ে গিয়েছে।
পূর্ণেন্দুবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় বাংলার চাষিরা নিজেদের সম্মান ফিরে পেয়েছেন। কৃষকবন্ধু প্রকল্পে লক্ষ লক্ষ চাষি উপকৃত হচ্ছেন। সেখানে কেন্দ্র বাংলার চাষিদের বঞ্চিত করছে। সংগঠনকে মজবুত করতে কিছু নিয়ম কমিটির সদস্যদের মেনে চলতে হবে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে অবশ্যই দলের নেতৃত্বকে জানাতে হবে। দলের অন্দরে কোনও মনোমালিন্য হলে তা বাইরে আনা যাবে না। আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে।
কিষান খেত মজদুর সংগঠনের জেলা সভাপতি শেখ শাহনওয়াজ বলেন, কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আজ সারাদেশের চাষিরা সোচ্চার হয়েছেন। বাংলার চাষিরাও কেন্দ্রের নানা প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হয়েছে। কেন্দ্রের এই কৃষি আইন যে কতটা ভয়ঙ্কর, তা জেলার চাষিদের আমরা বোঝাব। বাংলার চাষিদের আন্দোলনমুখী করে তুলতে হবে।