গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কয়েকদিন আগে নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টির জল তো আছেই। তার উপরে আবার মঙ্গলবার ও বুধবারের বৃষ্টিতে কাটোয়া পুরসভার বেশ কিছু ওয়ার্ডের নিচু এলাকায় জল জমছে। সেই জল বেরতে কয়েক ঘণ্টা সময় লেগে যাচ্ছে। বিশেষ করে কাটোয়া শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের পাবনা কলোনি, হাজরাপুর কলোনি, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজ পাড়া, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে জল জমছে। শুধু তাই নয়, সেই জল নামতে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা সময় লেগে যাচ্ছে। এইসব এলাকার বাসিন্দাদেরও দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। এ বিষয়ে কাটোয়া পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এখন ভাগীরথীতে জল বাড়ায় লকগেট বন্ধ রাখতে হয়েছে। তাই জল একটু জমছে। তবে তা দ্রুত নেমেও যাচ্ছে। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।
এদিকে টানা বৃষ্টিতে দাঁইহাট শহরেও ব্যাপক জল জমছে। বেশকিছু ওয়ার্ডে আবার হাঁটু পর্যন্ত জল জমে যাচ্ছে। এমনিতে প্রাচীন শহর দাঁইহাটের নিকাশি ব্যবস্থা খুব একটা উন্নত নয়। আর তার জেরে জল ঠিকমত বেরচ্ছে না। শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ড, স্টেশনের কাছে সাহাপাড়া, হরিজন পাড়া, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জেলেপাড়ায় ব্যাপক জল জমেছে। নিকাশি নালাগুলি সংকীর্ণ থাকায় জল বেরচ্ছে না। ফলে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। জেলেপাড়ার বাসিন্দাদের একাংশ বলেন, নিকাশি নালার জল উপচে বাড়িতে ঢুকছে। আর আমাদের সেই নোংরা জল দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে দাঁইহাট পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান শিশিরকুমার মণ্ডল বলেন, দাঁইহাটে জল জমছে বটে, তবে আমরা নতুন করে নিকাশি নালা তৈরি করছি। আবার পুরানো নিকাশি নালার সংস্কার করছি। ফলে আশাকরি সমস্যার সমাধান হবে। আর বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। অন্যদিকে অল্প বৃষ্টিতেই গুসকরা শহরজুড়ে জল জমছে বিভিন্ন ওয়ার্ডে। বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে নাজেহাল বাসিন্দারা। গুসকরা শহরের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে কুনুর নদী। আর শহরের ভৌগলিক অবস্থান অনেকটা কড়াইয়ের মতো। শহরজুড়ে বেহাল হয়ে পড়েছে নিকাশি নালা। ফলে এক দু’ঘণ্টার বৃষ্টিতেই শহরে জল জমে যাচ্ছে। তাছাড়া শহরের আরেক প্রান্তে বড় কান্দর রয়েছে। এখন কুনুর ও কান্দর দুটিতেই জল ছাপিয়ে গিয়েছে। সেই জল শহরে ঢুকছে।
জানা গিয়েছে শহরের ১, ২, ৫, ৬, ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিচু এলাকাগুলি জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। এ বিষয়ে গুসকরা পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর এক সদস্য কুশল মুখোপাধ্যায় বলেন, বৃষ্টিতে জল জমেছে। তবে আমরা সবসময় নজরদারি চালাচ্ছি। তাছাড়া গুসকরা শহরের ভৌগলিক অবস্থানের জন্য সমস্যা হচ্ছে।