কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এপ্রসঙ্গে বিএমওএইচ প্রশান্ত সরকার বলেন, এটা চরম সমস্যা তৈরি করেছে। আমরা মাইকে প্রচার করছি। প্রথম ডোজ নেওয়ার সময় টিকা গ্রহীতারা যে ফোন নম্বর দিয়েছিলেন এখন সেই নম্বরে ফোন করে অনেককে পাওয়াই যাচ্ছে না। আমরা জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরে দ্বিতীয় ডোজ বকেয়ার তালিকা পাঠিয়েছি।
ব্লক সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের নিয়ম অনুযায়ী এখন স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে প্রতিদিন বহু মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। সুপার স্পেডার, বয়স্ক মানুষ থেকে শুরু করে ১২ বছর পর্যন্ত যাঁদের বাড়িতে শিশু আছে সেইসব মায়েদের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত পূর্বস্থলী-২ ব্লকে ৪৬ হাজারের বেশি মানুষকে ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজই দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও প্রথম ডোজ নেওয়ার পর অনেকেই দ্বিতীয় ডোজ নিতে আসছেন না।
আরও জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ বাকি রয়েছে ২০৪৫ জনের। আর প্রথম ডোজ নেওয়ার ৮৪থেকে ১১২ দিন পেরিয়ে গিয়েছে, অথচ এখনও ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেননি, এমন রয়েছেন ২৩৫ জন। পাশাপাশি প্রথম ডোজ নেওয়ার ১১২ দিন পেরিয়ে গিয়েছে অথচ দ্বিতীয় ডোজ নেননি, এমন মানুষ আছেন ১৮১০ জন। পূর্বস্থলী-২ ব্লকের ঝাউডাঙা পঞ্চায়েত এলাকায় চারজন ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিতে আসেননি। এরমধ্যে দু’জন অসুস্থ ও একজন দ্বিতীয় ডোজ নিতে অনীহা প্রকাশ করছেন বলে খবর মিলেছে।
ব্লক স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, বেশকিছু কারণে অনেকে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিতে আসছেন না। তার মধ্যে অন্যতম মোবাইল নম্বরের সমস্যা। এজন্য স্বাস্থ্যকর্মীরাও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। কারণ, অনেকেই প্রতিবেশীর মোবাইল নম্বর দিয়েছেন। ফলে, সেসব নম্বরে এখন আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এছাড়া, অনেকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েই ভিনরাজ্যে কাজে চলে গিয়েছেন। তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। স্বাস্থদপ্তর চাইছে প্রতিদিন যে পরিমাণ প্রথম ডোজ দেওয়া হচ্ছে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দ্বিতীয় ডোজও দিতে হবে। কিন্তু এই ব্লকে সেটা হচ্ছে না। ফলে ব্যাপক সমস্যায় পড়ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।