বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
ডিভিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার মাইথন থেকে ২০ হাজার ও পাঞ্চেত থেকে ৩৫হাজার কিউসেক করে জল ছাড়া হচ্ছে। মাইথনের বিপদসীমা ৪৯৫ফুটের মধ্যে ৪৮৯ফুট পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। পাঞ্চেতের বিপদসীমা ৪২৫ফুট। এখন জল বইছে ৪২৩ফুট উচ্চতায়। এই অবস্থায় ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন জায়গা থেকে বিপুল পরিমাণ জল আসবে জলাধারে। তাই বিপদসীমা অতিক্রম করলেই জল ছাড়বে ডিভিসি। তখন নতুন করে প্লাবনের সম্ভাবনা রয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকায়। বাড়তি সমস্যা বাড়িয়েছে শিল্পাঞ্চলের বৃষ্টিপাত। সেই জলও গিয়ে মিশেছে দামোদরে। দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে এদিন বিকেল পর্যন্ত ৬০হাজার ৮৭৫কিউসেক জল ছাড়তে হয়েছে। ইতিমধ্যে আরামবাগ, খানাকুল সহ দামোদর তীরবর্তী নিচু এলাকাগুলিতে পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় দুর্গতদের উদ্ধারে নামতে হয়েছে সেনাবাহিনী। তাই নতুন করে ওইসব এলাকার পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ড শিল্পাঞ্চলে বৃহস্পতি ও শুক্রবার তুমুল বর্ষণে শনিবার থেকেই লক্ষাধিক কিউসেক করে জল ছেড়েছিল ডিভিসি। মঙ্গলবার পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছিল ৪৫হাজার কিউসেক। ডিভিসির পক্ষ থেকে আশাপ্রকাশ করা হয়েছিল, যেভাবে পরিবেশের উন্নতি হচ্ছে, তাতে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হবে না। উল্টে কমানোই হবে। কিন্তু, মঙ্গলবার বিকেল থেকেই পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হতে থাকে।এদিন পশ্চিম বর্ধমানের পাশাপাশি বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও আরামবাগেও ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। বন্যা বিধ্বস্ত আরামবাগ মহকুমায় সকাল ১০ থেকে ১২টা পর্যন্ত তুমুল বৃষ্টি হয়। এতে দুর্গতদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মহকুমার মধ্যে খানাকুলের অবস্থা আরও খারাপ। তাই বৃষ্টি বাড়তে থাকায় নতুন করে প্রশাসনের তরফে সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। পুরুলিয়ায় রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বুধবার বিকেল পর্যন্ত আকাশ পরিষ্কার হয়নি। কাঁসাই, কুমারী সহ ছোট নদীগুলিতে জলস্তর বেড়েছে। রঘুনাথপুরে যে সমস্ত এলাকা আগে থেকেই ডিভিসির জলে প্লাবিত ছিল সেখানেই জল আরও বেড়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দারা।বাঁকুড়ায় মঙ্গলবার রাত থেকে এদিন দুপুর পর্যন্ত ৩৭ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। তার ফলে নদীগুলিতে জলস্তর বেড়েছে। সোনামুখী, বড়জোড়া, ইন্দাস, পাত্রসায়েরের কিছু এলাকা আগেই প্লাবিত হয়েছিল। নতুন করে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় সেখানেও চিন্তা বেড়েছে। সোনামুখীর বিডিও দেবলীনা সর্দার বলেন, প্রায় ৬০ শতাংশ জল এদিন নেমেছে। তবে কিছু জায়গায় এখনও জল রয়েছে। নতুন করে বৃষ্টির ফলে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।