পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, খড়গ্রাম ব্লকের ঝিল্লি, পদমকান্দি, পারুলিয়া প্রভৃতি পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে ব্যাপকভাবে পলুপোকার চাষ হয়। প্রায় তিন হাজার পরিবার পলু চাষের সঙ্গে যুক্ত। পলু পোকার প্রধান খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় তুঁত পাতা। সেই কারণে এলাকার অধিকাংশ চাষিই তুঁত চাষ করে থাকেন। কিন্তু তুঁত গাছ কয়েকদিন ধরে জলে ডুবে থাকায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বন্যার কারণে এলাকায় তুঁতপাতা পাওয়া যাচ্ছে না।কয়েকদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টির জেরে এলাকার অনেক জমি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। তার উপর মঙ্গলবার ভোরের দিকে এলাকার পলিশা গ্রামের কাছে দ্বারকা নদীর বাঁধ ভেঙে বন্যার জল বহু মাঠ প্লাবিত করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০টি মৌজা। ফলে প্রায় এক হাজার হেক্টর আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে। আরও প্রায় এক হাজার হেক্টর জমির তুঁত গাছ বন্যার জলে ডুবে গিয়েছে বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন।তুঁত গাছ ডুবে যাওয়ায় ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন এলাকার পলু চাষিরা। রানিনগর গ্রামের পলু চাষি সঞ্জীব মার্জিত বলেন, তুঁত গাছ জলে ডুবে থাকলে তা নষ্ট হয়ে যায়। এলাকার বিঘার পর বিঘা তুঁত জমি প্রায় তিনদিন ধরে ডুবে রয়েছে। তাই তুঁত গাছ নষ্ট হওয়ার মুখে। তুঁত পাতা পাওয়া যাচ্ছে না।
তুঁত গাছ ডুবে থাকায় পাশের ব্লক থেকে চাষিদের তুঁতপাতা আমদানি করতে হচ্ছে। পদমকান্দি গ্রামের পলু চাষি অনন্ত মণ্ডল বলেন, আমাদের এই এলাকার জমিগুলি জলে ডুবে যাওয়ায় রামপুরহাট-২ ব্লক এলাকার গ্রামগুলি থেকে তুঁতপাতা নিয়ে আসতে হচ্ছে। তাছাড়াও নবগ্রাম ব্লক এলাকা থেকেও তুঁতপাতা আনতে হচ্ছে।
পলু চাষিরা জানান, এই এলাকার জমিগুলি থেকে জল নামতে অনেকটাই সময় লেগে যায়। যতদিন জমিতে জল জমে থাকবে ততদিনে তুঁত গাছ নষ্ট হয়ে যাবে। পলু চাষিদের দাবি, তুঁত পাতা জোগান দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসন কোনওভাবে সাহায্য করলে চাষিদের উপকার হয়। খড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি টিঙ্কু মণ্ডল বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এলাকার পলু চাষিরা সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। অন্যান্য এলাকা থেকে যাতে তুঁতপাতা আমদানি করা যায় সেই চেষ্টা শুরু করছি।
অন্যদিকে, কান্দি মহকুমার বিভিন্ন গ্রামে এদিনও জল কমেনি। খড়গ্রামে দ্বারকা নদী থেকে গ্রামগুলিতে জল ঢুকছে। ভরতপুর, বড়ঞায় জল কিছুটা নেমেছে। তবে আমন ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। কয়েকদিন ধরে ধানজমি জলে ডুবে থাকায় চাষিদের মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে।