রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বীরভূমের রামপুরহাট এলাকার চাষি সত্যেন মণ্ডল বলেন, গ্রীষ্মের ধান বিক্রি করেই বর্ষার চাষ শুরু করা হয়। কিন্তু চাষ শুরুর সময় ক্রয়কেন্দ্রগুলিতে ধান বিক্রি করা যায়নি। যোগাযোগ না থাকলে ক্রয় কেন্দ্রগুলিতে সাধারণ চাষিদের পক্ষে ধান বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। আর এক চাষি বলেন, শাসকদলের নেতাদের সঙ্গে যাদের সম্পর্ক রয়েছে তারা খুব সহজেই সরকারি নির্ধারিত মূল্যে ধান বিক্রির সুযোগ পাচ্ছে। তা না হলে কুপন পেতে কালঘাম ছুটে যাচ্ছে। ফড়েদের ধান বিক্রি করলে ঝক্কি অনেকটাই কম। তারা বাড়িতে এসে গোলা থেকে ধান নিয়ে যায়। ক্রয় কেন্দ্রগুলিতে গিয়েই ধান বিক্রি করা যায় না। অনেক সময় নিজের দায়িত্বেও ধান রাখতে হয়। চাষের মরশুমে এত সময় পাওয়া যায় না। এই সুযোগই কাজে লাগাচ্ছে ফড়েরা। প্রত্যন্ত এলাকায় ক্যাম্প হলে তারা এই সুযোগ নিতে পারত না। তৃণমূল নেতা খলিলুর রহমান বলেন, ক্যাম্পগুলিতে আমাদের দলের নেতারা প্রভাব খাটায় না। সরকারি ক্যাম্পে ফড়েদের ধান বিক্রির বিষয়টি জানা নেই। সেটা হয়ে থাকলে প্রশাসন নিশ্চয়ই পদক্ষেপ নেবে। খাদ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধ লাগু হওয়ার পর ক্রয় কেন্দ্র বা সিপিসিগুলিতে ধান কেনার পরিমাণ কমে গিয়েছিল। বিভিন্ন সংস্থা ধান কেনা সম্পূর্ণ বন্ধ করে রেখেছিল। সেইসময় ফড়েরা চাষিদের থেকে ব্যাপক পরিমাণে ধান সংগ্রহ করেছিল। এখন আবার সরকারিভাবে ধান কেনা শুরু হয়েছে। জমির নথি দেখেই ধান কেনা হয়। ফড়েদের কাছে থেকে ধান কেনার অভিযোগ ঠিক নয় বলে দাবি দপ্তরের আধিকারিকদের।প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলায় এবার চার লক্ষ ৫২ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে তিন লক্ষ ৮৯হাজার মেট্রিক টন ধান ইতিমধ্যে কেনা হয়ে গিয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলার ফুড কন্ট্রোলার সুদীপ্ত সামন্ত বলেন, আশা করা যাচ্ছে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আমাদের জেলার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে যাবে। প্রতিটি ক্রয়কেন্দ্রে ধান কেনা হচ্ছে। চাষিরা উপযুক্ত প্রমাণ নিয়ে এসে সেখানে ধান বিক্রি করতে পারবেন। দপ্তরের আর এক আধিকারিক বলেন, কয়েকটি এলাকা থেকে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল। সেগুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি মহকুমা ও নবগ্রাম, সাগরদিঘি এলাকায় ধান চাষ হয়। এখন ওই এলাকাগুলিতেই ক্যাম্প চলছে।