কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জেলাজুড়ে এফআইআর এবং বাড়ি বাড়ি লাল নোটিস পাঠানো হচ্ছে। নোটিসের কড়া বার্তা, সাতদিনের মধ্যে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করতে হবে। অথবা টাকা ফেরত দিতে হবে। তা না হলে থানায় এফআইআর হবে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে।
২০১৯-’২০আর্থিক বর্ষে টাকা পেয়েও একটি ইট গাঁথেননি এগরা-১ব্লকের কসবা এগরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবকেশ্বর মিশ্র ও সীতারাম পাত্র। বিডিও সুমন বিশ্বাস ওই দু’জনের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করেন। ১জুলাই এগরা থানার পুলিস দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। নন্দীগ্রাম-১ব্লকেও অনেকেই ২০১৯-’২০ এবং ২০২০-’২১ আর্থিক বর্ষে টাকা নিয়েও বাড়ি করেননি। সেখানেও এফআইআরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলায় আরও কয়েকটি ব্লকে এফআইআর করা হয়েছে বলে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি জানান।
আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরি না করা উপভোক্তাদের চিহ্নিত করে এফআইআর শুরু হতেই অনেকে বাড়ি তৈরির কাজে ঝাঁপিয়েছেন। এখন থানা-পুলিসের চক্কর এড়াতে ইট, বালি, সিমেন্ট মজুত করার হিড়িক পড়েছে। পটাশপুর-১ব্লকের মধ্যে অমর্ষি-১গ্রাম পঞ্চায়েতে ২০১৯-’২০আর্থিক বর্ষে সবচেয়ে বেশি ১৩৪জন টাকা পেয়েও বাড়ি তৈরি করেননি। জেলাশাসকের নির্দেশে স্থানীয় পঞ্চায়েত তাঁদের বাড়ি বাড়ি নোটিস পাঠান। তারপর হাতিবাঁধ গ্রামের সইফান বিবি, রেশমা বিবি এবং নরপদা গ্রামের আনসুরা বিবি, শেখ সালামত সহ আরও অনেকেই বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান স্বরূপকুমার আদক বলেন, আমরা উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি। অবিলম্বে কাজ শুরু করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। তাতে কাজ হচ্ছে।
২০১৯-’২০আর্থিক বছরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৮৯হাজার ১৪২জন আবাস যোজনায় টাকা পেয়েছেন। ২০২০-’২১আর্থিক বর্ষে সংখ্যাটা বেড়ে হয় ১লক্ষ ৭৩টি। ওই দুই আর্থিক বছরের অধিকাংশ বাড়ি নির্মাণ হয়নি। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার পর অনেকেই বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরুই করেননি। ২০২১-’২২ আর্থিক বছরে ৩৪হাজার ৩৮৮টি বাড়ি তৈরির জন্য অনুমোদন হয়েছে। এখনও উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি।প্রতিবছর কোটার সংখ্যা বাড়লেও বাড়ি তৈরির পারফরম্যান্স একেবারে হতাশাজনক। যেকারণে গ্রামীণ এলাকায় আবাস যোজনা প্রকল্পে পূর্ব মেদিনীপুর একেবারে পিছনের সারিতে। উপভোক্তাদের রেজিস্ট্রেশন থেকে জিও ট্যাগিং, সব কাজকর্মই গত দেড়-দু’বছর ধরে অত্যন্ত ধীর গতিতে চলেছে।
অতিরিক্ত জেলাশাসক(জেলা পরিষদ) শ্বেতা আগরওয়াল বলেন, বাংলার আবাস যোজনা প্রকল্পে আমাদের জেলার পারফরম্যান্স খুব খারাপ। আমরা কাজে গতি আনার পরিকল্পনা নিয়েছি। ইতিমধ্যে জেলাশাসক প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে মিটিং করেছেন। টাকা নিয়েও যাঁরা বাড়ি করেননি তাঁদের নোটিস দেওয়া হচ্ছে। সাতদিনের মধ্যে বাড়ি না বানালে টাকা ফেরত দিতে হবে।