বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পেট্রকেম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১ আগস্ট, রবিবার থেকে ন্যাপথা ক্র্যাকার, এইচডিপিইউ, এলএলডিপিইউ, ইথিলিন সহ সব ইউনিটের উৎপাদন পুরো বন্ধ করে শুরু হয়েছে মেরামতির কাজ। এদিন অগ্নিকাণ্ডের সময় শাটডাউন মেনটেন্যান্সে কর্মরত ছিলেন প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক কর্মচারী। এছাড়া পেট্রকেমে নতুন একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজও চলছে জোরকদমে। হলদিয়া বন্দর থেকে সেখানে জ্বালানি কয়লা আনতে বসানো হচ্ছে কনভেয়ার বেল্ট। তার জন্য একটি লোহার কাঠামো তৈরির কাজ চলছিল। সেখান থেকেই ওয়েল্ডিংয়ের ফুলকি গিয়ে পড়ে নীচে ন্যাপথার বর্জ্য পরিবহণের ড্রেনে। আগুনের জেরে পাইপলাইনের একটি ভাল্ভ ফেটে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান শ্রমিকরা। সেখান থেকে মূল ন্যাপথা ক্র্যাকার প্লান্টের দূরত্ব মেরেকেটে শ’দেড়েক মিটার। ৫০-৬০ ফুট উঁচু লেলিহান অগ্নিশিখার গ্রাসে চলে যায় ন্যাপথা পাইপলাইন ও বর্জ্যবাহী ড্রেন। ঘন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় পেট্রকেমের আকাশ। ১০ কিমি দূর থেকেও তা চোখে পড়েছে।
এদিন সন্ধ্যায় একটি বিবৃতি জারি করে হলদিয়া পেট্রকেমের হোলটাইম ডিরেক্টর সুভাষেন্দু চট্টোপাধ্যায় জানান, আগুন লাগার পর থেকেই গোটা এলাকা খালি করে দেওয়া হয়। বিকেল ৫টা ৪০ নাগাদ অবস্থা আয়ত্তে আসে। তবে আগুন লাগার আসল কারণ জানতে তদন্ত করে দেখা হবে। হলদিয়ার ইনসপেক্টর অব ফ্যাক্টরিজ দেবায়ন দে বলেন, ‘কেউ গুরুতর জখম হননি। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
শ্রমিকদের অবশ্য দাবি, প্রতিবারই শাটডাউনের সময় এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। তবে, এবার তা বড় আকারে হয়েছে। ড্রেনের ন্যাপথা যতক্ষণ না পুড়ে শেষ হচ্ছে, ততক্ষণ আগুন জ্বলতেই থাকবে। ২০১৯’এর ১৮ সেপ্টেম্বর ন্যাপথা ইউনিটের মেনটেন্যান্সের কাজ চলাকালীন একইভাবে আগুন লেগেছিল পেট্রকেমে। ঝলসে ইঞ্জিনিয়ার সহ চারজনের মৃত্যু হয়। নিরাপত্তায় ত্রুটির অভিযোগ উঠেছিল পেট্রকেমের বিরুদ্ধে।