পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শহরের নিকাশি ব্যবস্থা নির্ভর করে থাকে বাঁকা নদ ও সাপজোলা খালের উপর। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় দুটোরই অবস্থা খারাপ। বিগত কয়েকদিন ধরে প্রবল বর্ষণ ও ডিভিসির ছাড়া জলে টইটুম্বুর হয়ে পড়ে বাঁকা। জল উপচে নদের দু’দিক প্লাবিত করে। এর ফলে ৮, ১৯, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড সহ আরও কিছু ওয়ার্ড জলের তলায় চলে যায়। বহু বাড়ির ভিতরে জল ঢুকে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। দুর্গত এলাকার মানুষকে সরিয়ে উঁচু জায়গায় স্কুলে সাময়িক আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়। ত্রিপল ও খাবারের বন্দোবস্তও করে প্রশাসন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, টানা কয়েকদিন স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে বর্ধমানেও। পাশপাশি সেচের জন্য ডিভিসি থেকে প্রায় দেড় লক্ষ কিউসেক জল আগেই ছাড়া হয়েছে। ফলে অতিরিক্ত জলের চাপে বাঁকার জলস্তর বেড়ে গিয়েছিল। সেই কারণেই নদের তীরবর্তী অঞ্চলকে ভাসিয়ে দিয়েছে। পাশপাশি শহরের জল বাঁকায় মিশতে না পারায় সেই জল শহরের নানা জায়গায় আটকে পড়ে। যদিও এখন ডিভিসির জল সরাসরি আর বাঁকায় আসছে না। ফলে জলস্তর ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে। সেই কারণে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বর্ধমান শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে জল নেমে গিয়েছে। সেখানে বন্ধ করা হয়েছে ত্রাণ শিবির। মানুষ নিজের ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। জল নেমেছে বর্ধমানের নির্মল ঝিল শ্মশান সহ ভাতছালা রোড, বিদ্যার্থী স্কুল সংলগ্ন এলাকাতেও। ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁকার জলস্তরও নিম্নগামী। এছাড়াও শহরের অন্যান্য অংশে জমে থাকা জল অনেকটাই কমেছে।
যদিও শহরে জল কমলেও জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পায়নি শহর সংলগ্ন বেলকাশ এলাকা। উদয়পল্লি থেকে বেলকাশ যাওয়ার রাস্তা এখনও জলমগ্ন। মিলিক পাড়া, বহরপুর, সিংহপুর, বেদবাঁকা এলাকায় রাস্তাঘাট এখনও জলমগ্ন। বেদবাঁকা থেকে সিংহপুর হয়ে ফাগুপুর জাতীয় সড়কে যাওয়ার রাস্তায় হাঁটুজল রয়েছে। বিপদ নিয়েই পারাপার করছেন স্থানীয় মানুষজন। এই এলাকাগুলির চাষজমি ও সব্জি খেতও জলের তলায় রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ক্যানেল সংস্কারের কাজ হয়নি। যার ফলে শহরের নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা। যে কারণে অল্প বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। পাশপাশি পলি পড়ে বাঁকার নাব্যতা অনেক কমে গিয়েছে। যদিও এই অভিযোগ মানতে চাইছে না বর্ধমান পুরসভা। পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার অমিত কুমার গুহ বলেন, বর্ষার আগে শহরে নিকাশি ব্যবস্থা সংস্কারের কাজ হয়েছিল। তাই শহরে জল জমার মূল কারণ নিকাশি ব্যবস্থা নয়। প্রবল বর্ষণ ও ডিভিসি থেকে বিপুল পরিমাণ জল ছাড়ায় বাঁকার জল ব্যাক ফ্লো করেছে। তার জেরেই শহরের নানা জায়গায় জল জমে যায়। তবে এখন তা ধীরে ধীরে নেমে যাচ্ছে।