কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গত দু’দিনের অবিরাম বৃষ্টি ও বৈধরা জলাধার থেকে জল ছাড়ায় ফুলে ফেঁপে উঠছে ব্রাহ্মণী। সেই জলে দেবগ্রামের কাছে তলিয়ে গিয়েছে কজওয়ে। ফলে, নদী পারাপারে ভরসা নৌকা। এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ রামেশ্বরপুর থেকে বেশ কয়েকটি বাইক, সাইকেল, সব্জির বস্তা সহ শিশু, মহিলা সহ প্রায় ২৫জন যাত্রী দেবগ্রামের দিকে আসছিলেন। দেবগ্রাম ঘাটে তাড়াহুড়ো করে যাত্রীরা নামার চেষ্টা করতেই সেটি ডুবে যায়। নৌকার মাঝি প্রশান্ত লেট বলেন, তীরে এসে নৌকার দু’দিক পাড়ের খুঁটিতে বাঁধার পর একটি বাইক নামাচ্ছিলাম। তখন কয়েকজন যাত্রী ওঠার ও নৌকায় থাকা লোকজন হুড়মুড়িয়ে নামতে যান। তাতেই নৌকা কাত হয়ে ডুবে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা গৌতম লেট বলেন, নৌকায় বাইক, সাইকেলের সঙ্গে ২৫জনের মতো যাত্রী ছিল। তাদের মধ্যে কয়েকটি বাচ্চাও ছিল। নৌকা ডুবে যেতেই সিভিক ভলান্টিয়ার ও আমরা নদীতে নেমে বাচ্চাগুলিকে উদ্ধার করি। কয়েকজন সাঁতরে পাড়ে ওঠেন। বাকিরা দড়ি, বাঁশ ধরে প্রাণে রক্ষা পান। উদ্ধার হয় বাইক ও সাইকেলগুলি।
সিভিক ভলান্টিয়ার প্রশান্ত দাস বলেন, যাত্রীদের তাড়াহুড়োর জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। তীরে নৌকা আসতেই যাত্রীদের নামার সুযোগ না দিয়ে একদল চাপতে শুরু করেন। যার জেরেই নৌকা বেসামাল হয়ে যায়। তবে বাচ্চা সহ অনেককে উদ্ধার করতে পেরেছি, এটা ভেবেই ভালো লাগছে। এদিন ঘটনার পর পুলিস যাত্রী বহনে কড়াকড়ি শুরু করেছে। আট-দশজন করে যাত্রী ও একটি করে বাইক নৌকায় চাপিয়ে পারাপারের অনুমতি দেয়।