বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তাদের দাবি, শিশুর মায়েদের ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নেওয়া থাকলে সন্তানদের সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা কিছুটা হলেও এড়ানো সম্ভব। যে কারণে এই কাজে জোর দেওয়া হয়েছে।
শান্তিপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক পূজা মৈত্র বলেন, আমাদের ব্লকে গত বুধবার থেকে এই ভ্যাকসিনেশনের কাজ শুরু হয়।
বর্তমানে জেলাজুড়েই শিশুর মায়েদের ভ্যাকসিন দেওয়া চলছে। এছাড়া জেলায় এখন দৈনিক সংক্রমণের হার অনেকটাই কমেছে। তাই করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আগে বেশি সংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়াটাই আমাদের লক্ষ্য।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃতীয় ডেউয়ের আগে জেলায় পাঁচটি হাসপাতালে পেডিয়াট্রিক ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট(পিকু) ইউনিট চালু করার কথা উল্লেখ করে, রাজ্যের তরফ একটি নির্দেশিকা জারি হয়। তাতে ওই পাঁচ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য ৭৫টি বেডের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে।
আরও জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির আগে জেলার কোনও হাসপাতালে শিশুদের চিকিৎসার জন্য পিকু ইউনিটের পরিকাঠামো ছিল না। কিন্তু নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী এবার কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজে ২৫টি বেড, কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ১০বেড, রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ১০বেড, নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালের ১০বেড ও কল্যাণী এনএসএস কোভিড হাসপাতালে বিশেষভাবে ২০টি বেডের পিকু ইউনিট চালুর উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। আগস্টের মধ্যেই ওই ইউনিটগুলি চালু করা হবে।
অন্যদিকে, জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে শনিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত জেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২১জন। এছাড়া একজন করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে জেলার করোনা আক্রান্ত হয়ে ৯৪৭জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় বর্তমানে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৫৯১।