পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
হাঁসখালির বিডিও অমিতাভ ভট্টাচার্য বলেন, ওই এলাকা থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমাদের তরফে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্তে অনিয়মের বিষয় উঠে এলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ময়ূরহাট-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণপাড়া এলাকায় নবনির্মিত ড্রেন তৈরির নামে পঞ্চায়েতের তরফ সম্প্রতি একটি ফলক লাগানো হয়। তাতে ইংরেজিতে লেখা হয়, স্বদেশ রায়ের বাড়ি থেকে পরিমল কর্মকারের বাড়ি পর্যন্ত এই ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। এজন্য ব্যয় হয়েছে দু’লক্ষ ৫৩ হাজার ৫০৮ টাকা। যদিও ওই ফলকে ড্রেনের দৈর্ঘ্য কত তা উল্লেখ করা হয়নি। এমনকী প্রকল্পের কাজ শুরুর তারিখের জায়গায় শুধুমাত্র ২০২১সাল লেখা রয়েছে। এছাড়া ২৮জুন প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে বলে উল্লেখ করা রয়েছে।
বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, স্বদেশবাবুর বাড়ি থেকে ড্রেন তৈরির কথা ফলকে লেখা থাকলেও ওই ব্যক্তির বাড়ির আশেপাশে কোনও ড্রেন নেই। এমনকী ৯০মিটার ড্রেন তৈরি হওয়ার কথা থাকলেও তা মাত্র ৩০মিটার তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া এলাকায় থাকা পুরনো একটি ড্রেনকে আংশিক সংস্কার করে নতুন ড্রেন হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ড্রেন তৈরি না করেই সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী, জেলাশাসক ও অন্যান্য দপ্তরের জানিয়েছি। উন্নয়নের টাকা নিয়ে অনিয়ম মেনে নেওয়া যায় না। কারণ, এতে প্রকৃত অর্থে সরকারের বদনাম হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা পরিমল কর্মকার বলেন, আমার বাড়ির পাশে যে ড্রেনটি রয়েছে তা কয়েক বছর আগে তৈরি হয়েছিল। কিন্তু মাসকয়েক আগে ড্রেনের কিছু জায়গায় সংস্কার করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা সুমন রায় বলেন, উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য সরকার অর্থ বরাদ্দ করলেও সেই টাকা তছরুপ হচ্ছে। আমরা নিজেরা মেপে দেখেছি, এলাকায় মেরেকেটে ৩০মিটারের বেশি ড্রেন তৈরি হয়নি।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে পঞ্চায়েত প্রধান রামপদ ঘোষ বলেন, প্রকল্পের কাজ নিয়ম মেনেই হয়েছে। গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা এর আগেও উন্নয়নমূলক কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাঁরাই মূলত ওই অভিযোগ করছেন। সরকারি কাজে কোনওরকম অনিয়ম হয়নি। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই বলেন, তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতে প্রধানের বিরুদ্ধে এই ধরনের অনিয়মের অভিযোগ সামনে আসা মানে প্রকৃত অর্থে সাধারণ মানুষের কাছে দলের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে। তাই দলের স্বার্থে জেলাস্তরের নেতাদেরও এনিয়ে বাড়তি নজর দেওয়া উচিত। জেলা তৃণমূলের মেন্টর দীপক বসু বলেন, প্রশাসন তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখবে। আমরা কখনোই এই ধরনের ঘটনা প্রশ্রয় দিই না। আমরাও দলীয়ভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখব।