গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে ন’জন বন্দি নিয়ে একটি পুলিস ভ্যান রওনা দিয়েছিল তমলুক জেলা ও দায়রা কোর্টে। বেলা ১২টা নাগাদ কোর্ট চত্বরে ঢোকার কয়েক মিটার আগে জেলখানার মোড়ে যানজটে আটকে যায় ওই ভ্যান। ভ্যানের মধ্যে একজন এএসআই এবং চার-পাঁচজন কনস্টেবল ছিলেন। তাঁদের নজর এড়িয়ে দুই বন্দি ভ্যানের মধ্যে জানালার ধারে একটি রড বাঁকিয়ে দেয়। তারপর দুই বন্দি সেখান দিয়ে গলে বাইরে লাফ দিয়ে চম্পট দেয়। ওই ঘটনায় শহরজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
বন্দি পালানোর খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন তমলুকের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস। তিনি পুলিস ভ্যানে ডিউটিরত পুলিস কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গেও কথা বলেন। ভ্যানের মধ্যে বন্দিরা বসে মোটা রড বেঁকিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও কেন সেটা তাঁদের নজরে এল না তা কর্তব্যরত পুলিস কর্মীদের জিজ্ঞাসা করেন।
বেলা ১২টা নাগাদ ওই ঘটনার পর গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সবক’টি থানাকে অ্যালার্ট করে দেওয়া হয়। সড়ক পথ, জলপথ সহ সর্বত্র নাকা চেকিং শুরু হয়। তমলুক শহরে ঢোকার সবক’টি পয়েন্টে নাকা চেকিং শুরু হয়। একই ভাবে ৪১নম্বর জাতীয় সড়ক, ৬নম্বর জাতীয় সড়কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চেকিং চলে। তমলুক, নন্দকুমার, কোলাঘাট, ময়না প্রভৃতি থানা এলাকায় সবক’টি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে গাড়ি থামিয়ে চেকিং চলে। সমস্ত থানার সিভিক ভলান্টিয়ারকে নামিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, দুই বন্দির হদিশ পায়নি পুলিস।
এব্যাপারে পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত পুলিস সুপার(হেডকোয়র্টার) অম্লানকুসুম ঘোষ বলেন, পলাতক দুই বন্দির বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। কর্তব্যরত পুলিস কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হবে। তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, তমলুক শহরে জেলখানা মোড় চত্বর অত্যন্ত যানজট কবলিত এলাকা। অফিস টাইমে তিন মাথার ওই মোড়ে প্রচণ্ড যানজট হয়। এদিন সেই জ্যামেই আটকে গিয়েছিল ওই পুলিস ভ্যান। ডিউটিরত পুলিস কর্মীরা অন্যমনস্ক ছিলেন। সেই সুযোগটাকে কাজে লাগায় দু’জন। ওই মোড়ে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। তাতে বন্দি পালানোর ঘটনা ধরা পড়েছে। পুলিস ভ্যানের লোহার রড বাঁকিয়ে জোড়া বন্দির চম্পট দেওয়ার ঘটনায় রক্ষীদের গাফিলতি স্পষ্ট। ভ্যানে ডিউটিতে থাকা পুলিস কর্মীদের শোকজ করে বিভাগীয় তদন্ত হবে বলে জানা গিয়েছে।