বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বাঁকুড়া স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সোরেন বলেন, জেলায় ৬৬ শতাংশ মানুষের শরীরে আন্টিবডি তৈরি হয়েছে। এটা যথেষ্ট ইতিবাচক।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর আইসিএমআর রাজ্যে একাধিকবার সমীক্ষা চালিয়েছে। মূলত সংক্রমণের গতি প্রকৃতি বোঝা বা কত মানুষের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে রয়েছে, তা যাচাই করতেই এই সমীক্ষা চালানো হয়। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কিছুটা কমার পরও এই সমীক্ষা চালানো হয়। এমনকী তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুরা আক্রান্ত হতে পারে ধরে নিয়ে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গত জুন মাস নাগাদ বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার ন’টি ব্লকের বাছাই করা কিছু এলাকায় বিভিন্ন বয়সের বাসিন্দাদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এছাড়া বাঁকুড়া পুরসভার একটি এলাকাতেও সমীক্ষা চালায় আইসিএমআর। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তারা সেই সমীক্ষার কাজে সাহায্য করেন। সম্প্রতি আইসিএমআর রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরকে সমীক্ষার রিপোর্ট পাঠিয়েছে।
ওই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, বাঁকুড়ায় ৪১১ জন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে নমুনা নেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ২৭৪ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। অর্থাৎ, ৬৬.৭ শতাংশ মানুষের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের ক্ষেত্রেও ১০০ জনের নমুনা নেওয়া হয়। ল্যাবে তা পরীক্ষা করে আইসিএমআর দেখেছে, ৭৯ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ওই রিপোর্টে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার জেলায় ৫৯.১ শতাংশ, ঝাড়গ্রামে ৫৪.১ শতাংশ, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৬২.২ শতাংশ ও পূর্ব মেদিনীপুরে ৫৩.৯ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।
স্বাস্থ্য কর্তাদের দাবি, বাঁকুড়ায় যে ৬৬ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, তাদের মধ্যে কারও করোনা সংক্রমণ হওয়ার পর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। কারও আবার টিকার দু’টি ডোজ নেওয়ার ফলে অ্যান্টিবডি হয়েছে। তবে জেলায় সমীক্ষা চালানো বেশকিছু এলাকায় অ্যান্টিবডি কম পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া পুরসভার সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে ৭৩.৮ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছে। ভুলুই গ্রামে ৬৭.৫ শতাংশ, কংসচূড়া গ্রামে ৭৪.৪ শতাংশ, খড়বনাতে ৭৩.৩ শতাংশ, নিকুঞ্জপুরে ৬৪.৩ ও লাপুড়িয়া গ্রামে ৫৩.৭ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছে।
বাঁকুড়ার জেলা যক্ষ্মা আধিকারিক তন্ময় ঘোষ বলেন, যেসব এলাকায় অ্যান্টিবডি শতাংশের বিচারে কম আছে, সেখানে টিকাকরণ বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হবে। পাশাপাশি বাসিন্দাদের করোনা বিধি মেনে চলতে হবে ও মাস্ক পরতে হবে।