কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
তমলুকের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস বলেন, একটি বাইকে চারজন ফিরছিলেন। রাতে কাঁটাপুকুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা লরির পিছনে বাইকের ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একজন গুরুতর জখম অবস্থায় তমলুক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আমরা পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি।
পুলিস জানিয়েছে, চার যুবক একটি বাইকে নন্দকুমার থানার মানুয়াখালি গ্রাম থেকে ঠেকুয়া-ট্যারাংখালি সড়ক ধরে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত ২টো নাগাদ কাঁটাপুকুর এলাকায় ওই রাস্তার ধারে পার্কিং করা লরির পিছনে তাঁদের বাইকটির ধাক্কা লাগে। চারজনই রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই তাঁদের তিনজনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিস দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। প্রত্যেককে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অদ্বৈতকে তমলুক জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাইকটি উদ্ধার করে নন্দকুমার থানায় নিয়ে যায় পুলিস।
জানা গিয়েছে, নন্দকুমার থানার মানুয়াখালির গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মী প্রলয় দাসের মায়ের মৃত্যু হয় রবিবার। তাঁরই শেষকৃত্যে যোগ দিতে চার বন্ধু বাইকে রাউতৌড়ি গ্রাম থেকে মানুয়াখালি গিয়েছিলেন। প্রলয়বাবু বছর কয়েক আগে রাউতৌড়ি গ্রামে বাড়ি বানিয়েছেন। যদিও আদিবাড়িতে মা থাকতেন। ওইদিন সেখানেই ওই বৃদ্ধা মারা যান। তাঁর শেষকৃত্য সেরে ফেরার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এর আগেও কাঁটাপুকুরে রাস্তার উপর পার্কিং করে রাখা ওই লরিতে ধাক্কা লেগে পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তারপর ওইদিন রাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে এনিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে। তাঁরা দ্রুত এনিয়ে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন।
প্রভাসের স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। তাঁর বাবা প্রহ্লাদ মাইতি বছর কয়েক আগে মারা গিয়েছেন। ওই যুবকের মৃত্যুর খবরে গোটা পরিবার ভেঙে পড়েছে। একইভাবে শোকাচ্ছন্ন রঞ্জিত ঘড়ার পরিবারও। রঞ্জিতরা দুই ভাই। আগেই দাদার মৃত্যু হয়েছে। রবিবার রাতে অপর ছেলের মৃত্যুর পর রঞ্জিতের পরিবারও শোকে পাথর হয়ে গিয়েছে। রঞ্জিতের স্ত্রী ও এক মেয়ে রয়েছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী চন্দন ভীম বলেন, মৃতদেহ সৎকার করতে গ্রাম থেকে কয়েকজন মানুয়াখালিতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় একসঙ্গে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গোটা গ্রাম শোকে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রত্যেকের বয়স ৩০এর নীচে। মৃতদের পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার মতো ভাষা নেই। আমরা পরিবারগুলির পাশে থাকব।