বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পেশায় ঠিকাদার ইন্দ্রবাবুর বাড়ি বাঘমুণ্ডি থানার মণিবেড়া গ্রামে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাইক নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় শ্রাবণডি ও মাদলা গ্রামের মাঝে শোল নদীর শ্রাবণডি সেতুর উপর দিয়ে জল বয়ে যাচ্ছিল। ইন্দ্রবাবু বাইক নিয়ে ওই সেতু পেরতে যান। স্থানীয়রা বাধা দিলেও ইন্দ্রবাবু তা শোনেননি। বাইক চালিয়ে তিনি সেতুর মাঝ বরাবর গিয়ে জলের তোড়ে ভেসে যান। শ্রাবণডি গ্রামের বাসিন্দা প্রত্যক্ষদর্শী গৌতম মাঝি বলেন, সেতুর দু’পাশেই তখন অনেক লোক ছিল। বাইক সহ ভেসে যাওয়ার পরই ইন্দ্রবাবু একেবারে তলিয়ে যাননি। কিছু দূর ভেসে গিয়ে নদীর মাঝামাঝি জায়গায় একটা উঁচু পাথরের উপর ভালোভাবে দাঁড়িয়ে পড়েন। ওই পাথরের নীচ দিয়ে জল যাচ্ছিল। তখন সেখানে উপস্থিত সকলে উদ্ধার কাজে তৎপর হয়ে ওঠেন। প্রথমে বাঁশ ফেলা হয়। তবে বাঁশ তাঁর কাছ পর্যন্ত পৌঁছয়নি। তারপরই গ্রামে ছুটে গিয়ে দড়ি নিয়ে আসা হয়। নদীতে দড়ি ফেলা হয়। চিৎকার করে দড়িটা কোমরে বেঁধে নিতে বলছিলাম। দড়ির আর একটা দিক গাছের সঙ্গে বাঁধা হয়েছিল। প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে জলস্রোতের আওয়াজে আমাদের চিৎকার তাঁর কাছ পর্যন্ত সম্ভবত পৌঁছয়নি। ইশারা করে দড়িটা কোমরে বেঁধে নেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু, তিনি কোমরে দড়ি বাঁধেননি। দু’হাতে দড়ি ধরে তিনি পাড়ে আসার চেষ্টা করেন। নদীর পাড় থেকে দড়ি টানা হচ্ছিল। এভাবে কিছুটা এগিয়ে আসার পর তিনি আর দড়ি ধরে রাখতে পারেননি। আমাদের চোখের সামনেই তিনি তলিয়ে যান।প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ওই উঁচু পাথরের উপর দিয়ে জল না যাওয়ায় সেখানে দাঁড়িয়ে থাকলেও তিনি হয়তো তলিয়ে যেতেন না। শনিবার সকাল থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই এলাকার বিভিন্ন জায়গায় নদীতে তল্লাশি শুরু করেন। যদিও এদিন বিকেল পর্যন্ত তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। রঘুনাথপুর থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা এদিন বিকেলে সেখানে পৌঁছন। তাঁরা খোঁজ শুরু করেছেন।