গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক অনুপ কুমার দত্ত বলেন, দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়ার আগাম খবর ছিল। সেই মতো সকাল থেকেই নদ তীরবর্তী এলাকায় মাইকিং করা হয়। জলস্তর বাড়লে কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নেওয়ার জন্য বলা হয়। পাশাপাশি কেনেটিতে একটি বাঁধে ফাটল সৃষ্টি হওয়ায় গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছিল। তা বালির বস্তা দিয়ে আটকানো হয়। পাত্রসায়র ও ইন্দাসের রোল এলাকায় নদ তীরবর্তী এলাকায় দুর্গতদের জন্য একাধিক ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকদের ত্রিপল বিলি করা হয়। আরামবাগের এসডিপিও অভিষেক মণ্ডল বলেন, দ্বারকেশ্বর, মুণ্ডেশ্বরী ও রূপনারায়ণে জল বাড়ছে। তার জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এদিন দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে দামোদরে দফায় দফায় প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়া হয়। তাতে দামোদর ফুঁসতে থাকে। দুপুরে সর্বোচ্চ ১লক্ষ ৩২হাজার কিউসেক জল ছাড়ার খবরে বাঁকুড়ার তিন ব্লক ছাড়াও আরামবাগ এলাকায় বাসিন্দাদের মনে তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়। ব্যাপক বন্যার আশঙ্কায় অনেকেই ঘর ছেড়ে ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নেন। এদিন আরামবাগের সালেপুরের পশ্চিমপাড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্ধার করতে নামানো হয় এনডিআরএফের টিম। জলের তোড়ে খানাকুলের কিশোরপুর-১ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের বন্দিপুরে দ্বারকেশ্বর নদের বাঁধ ভাঙে। তার জেরে নিরঞ্জনবাটি, বামুনখানা, মহিষগোট, বেড়াবেড়িয়া প্রভৃতি এলাকা প্লাবিত হয়। দুর্গতদের ত্রাণশিবিরে সরানো হয়।