পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অণ্ডালের বিডিও সুদীপ্ত বিশ্বাস বলেন, ষাঁড়টির আচরণ উৎকণ্ঠা বাড়িয়েছে। একাধিক মানুষ জখম হওয়ায় তাকে ঘুমপাড়ানি গুলি করে বশে এনে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। স্থানীয় বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য প্রশাসনের সর্বস্তরে বিষয়টি জানিয়েছি।
দুর্গাপুর হোক বা আসানসোল বাজারে ষাঁড়ের অভাব নেই। এমনিতে সব্জি বাজার থেকে ‘তোলা’ পেলেই খুশি থাকে তারা। কিন্তু মাঝেমধ্যে মেজাজ বিগড়ে গেলেই তাণ্ডব শুরু হয়ে যায়। যেমনটা শুরু হয়েছে অণ্ডালে। জানা গিয়েছে, দুধসাদা ধারালো খাড়া সিংয়ের ভোলা অনেকদিন ধরেই অণ্ডালে রয়েছে। সকালে সে গোরুর পালের সঙ্গে ঘুরে বেড়ায়। সন্ধ্যায় ফিরে আসে বাজারে। খুশি হয়ে অনেকে খাবার দিত। কিন্তু কয়েকদিন ধরে শান্ত অবস্থার ভোলা হঠাৎ মেজাজ বিগড়ে আক্রমণাত্বক হয়ে উঠেছে। লাঠি দেখলেই সিং উচিয়ে তেড়ে গিয়ে তাঁকে আক্রমণ করছে। তার আঘাতে অনেকেই আক্রান্ত। তবে বাসিন্দাদের একটি অংশের দাবি, ভোলার মেজাজ এমনি বিগড়ে যায়নি। বেশ কিছুদিন আগে ওকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। তারপর থেকেই লাঠি দেখলেই সে মেজাজ হারাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত তার আক্রমণে গুরুতর জখম হয়েছেন নিতাইচন্দ্র মণ্ডল ও মনোজ রায়। এই অবস্থায় এলাকাবাসী বিধায়ক ও প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। তখনই সিদ্ধান্ত হয়, ষাঁড়টিকে ঘুমপাড়ানি ইঞ্জেকশন দিয়ে বশ করা হবে। কিন্তু কে এই কাজ কারবে তা নিয়ে বনদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়।
ডিএফও নীলরতন পাণ্ডা বলেন, এটি ডোমেস্টিক অ্যানিম্যাল। আমাদের অধীনে পড়ে না। প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের উপ অধিকর্তা তপনকুমার রায় বলেন, অসুস্থ হলে চিকিৎসা করব আমরা। কিন্তু তাকে গুলি করে ঘুমপাড়ানো আমাদের বিষয় নয়। অবশেষে বিডিওর মধ্যস্ততায় দ্রুত এই কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।