পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গত শনিবার মুম্বইয়ের ওরলিতে কাজ করার সময় গ্রামের তিনজনের বহুতল থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে। খড়গ্রামের আতাই গ্রামের এক যুবকের একই সঙ্গে মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় গ্রামে শোক নেমে এসেছে। যদিও গ্রামে মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও কয়েকবার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। প্রায় আট বছর আগে মুম্বইয়ের একটি বহুতল নির্মাণ করার সময় গ্রামের চার যুবক বহুতল থেকে পড়ে গিয়ে মারা গিয়েছিলেন। আটবছর আগে মারা গিয়েছিলেন সোমনাথ মণ্ডল, বিকাশ মণ্ডল, অচিন্ত মণ্ডলরা। তাঁদের কারও বয়স ছিল ১৭ বছর, কারও বা ২২। মৃতদের মধ্যে একজন মাত্র বিবাহিত ছিলেন। বাসিন্দারা জানান, ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে গ্রামের যুবকদের মারা যাওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও কয়েকবার এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে একসঙ্গে চারজনের মৃত্যুর ঘটনা এই নিয়ে দু’বার ঘটল। কিন্তু পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও, গ্রামের মানুষকে তা দমাতে পারেনি। বরং বাইরে কাজ করতে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। গ্রামের দিবাকর মণ্ডল বলেন, বহু বছর ধরে গ্রামের মানুষ বাইরে কাজ করতে যাচ্ছেন। তবে বর্তমানে গ্রামের কয়েকশো বাসিন্দা ভিনরাজ্যে কাজ করতে যান। শুধুমাত্র গ্রামের বায়েন পাড়ারই প্রায় ২০০ যুবক বাইরে কাজ করেন। যত দিন যাচ্ছে বাইরে কাজ করতে যাওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। স্থানীয় গড্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শিবচন্দ্র মণ্ডল বলেন, পরিযায়ী শ্রম খাটতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও, গ্রামের মানুষকে মৃত্যুর ঘটনা দমাতে পারবে না। কারণ উচ্চ আয় গ্রামের যুবক সম্প্রদায়কে ভিনরাজ্যে কাজ করার জন্য আকর্ষিত করে তোলে। স্থানীয় গড্ডা পঞ্চায়েত প্রধান ভুলি বেগম মোল্লা বলেন, গ্রামে অনেকে বাংলা আবাস যোজনায় পাকাবাড়ি পেয়েছেন। আবার অনেকে ১০০ দিনের কাজও করেন। কিন্তু সেই রোজগার যথেষ্ট নয়। ১০০ দিনের কাজের টাকায় বছরভর সংসার চালানো মুস্কিল। আবার এই এলাকা কৃষিভিত্তিক হলেও, অনেকের নিজস্ব জমি নেই। তাই গ্রামের মানুষ বেশি রোজগারের আশায় ভিনরাজ্যে যাচ্ছেন।