কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দক্ষিণপাড়া কালীমন্দির এলাকার বাসিন্দা পেশায় কাঠমিস্ত্রি বিবেক হালদারের একমাত্র সন্তান পায়েল। এদিন সকালে পায়েল তার এক বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি থেকে স্কুলে যাবে বলে সাইকেলে চেপে বের হয়। কানাইনগর বটতলা থেকে রাজ্য সড়ক ধরে ভালুকার দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় কানাইনগরের দিক থেকে কাঠ বোঝাই একটি ইঞ্জিনভ্যান ও একটি টোটো নিজেদের মধ্যে রেষারেষি করে চলছিল। কানাইনগর দক্ষিণপাড়ার ছাতিমতলার কাছে টোটোটি ইঞ্জিনভ্যানকে ওভারটেক করে। এরপর পেছন থেকে ওই ছাত্রীর সাইকেলটিতে সজোরে ধাক্কা দেয়। সাইকেল থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে যায় সে। টোটোর পেছনে ছিল যন্ত্রচালিত ইঞ্জিনভ্যান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ছাত্রীটি রাস্তায় পড়ে যেতেই পেছন দিক থেকে যন্ত্রচালিত মোটরভ্যানটির চাকা তার হাতের উপর উঠে যায়। ভ্যানটি ব্রেক কষলে গাড়ির চাকায় ছাত্রীটিকে অনেকটা দূর পর্যন্ত নিয়ে চলে যায়। তাতে ওই ছাত্রীর ডানহাতের অনামিকা এবং কনিষ্ঠা দুটি আঙুল কেটে পড়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ওই ছাত্রীকে তড়িঘড়ি আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পর মোটরভ্যান রেখে পালিয়ে যায় চালক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নবদ্বীপ থানার পুলিস। সেখান থেকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ওই ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন।কানাইনগরের বাসিন্দা সুকান্ত শীল বলেন, শুনলাম ওরা সাইকেল করে যাচ্ছিল। সেই সময় টোটো মোটরভ্যানকে ওভারটেক করে। টোটোর ধাক্কায় রাস্তায় ওপর সাইকেল নিয়ে পড়ে যায় মেয়েটি। এরপর মোটর ভ্যানটি মেয়েটিকে তিন চারহাত পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়। তাতে ওর দুটো আঙুলই কেটে রাস্তায় পড়ে যায়।