পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আরামবাগের মহকুমা শাসক হাসিন জাহেরা রিজভি বলেন, কিছু টেকনিক্যাল কারণে এটি চালু করা যায়নি। বেশ কয়েকটি বিভাগ এর সঙ্গে যুক্ত। এনিয়ে বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে আলোচনায় বসব। আশা করছি, জট কাটিয়ে ডিহিবাগনানের নতুন প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসা পরিষেবা দ্রুত শুরু হয়ে যাবে।
গৌরহাটি-১ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ২০০৮ সালে ডিহিবাগনানের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছিল। সেই সময় বলা হয়েছিল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র দ্রুত চালু হয়ে যাবে। এখানে ১০টা বেড থাকবে। সিজার সহ ছোটখাট অপরেশনও করা হবে। কিন্তু, এত বছর ধরেও এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু করা হয়নি। প্রশাসনের সব স্তরে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। নতুন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশে পুরনো স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই কোনওরকমে চিকিৎসা চলছে। ছোটখাট সমস্যা হলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের১৫ কিমি দূরে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ছুটতে হয়। গ্ৰামবাসীরা যাতে দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা পান, তার জন্য এই আধুনিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছিল। এখন তা অবহেলায় পড়ে নষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শেখ আইদিন মণ্ডল বলেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু হলে এই গ্ৰামীণ এলাকার স্বাস্থ্য পরিষেবার চেহারা পাল্টে যেত। আরামবাগের বিএমওএইচ অনুপম বিশ্বাস বলেন, কেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু করা যায়নি, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে। মাঝে মাঝে স্বাস্থ্য দপ্তরের কিছু কর্মসূচি এখানে হয়। তবে পুরনো স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি থেকে আগের মতোই চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।