নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: তমলুক জেলা হাসপাতালের পুলিস সেলে বহাল তবিয়তে রয়েছেন তৃণমূল নেতা কুরবান শা খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আনিসুর রহমান। ওই খুনের ঘটনায় ধৃত প্রত্যেককে ছ’মাস আগে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে তমলুক উপসংশোধনাগারে আনা হয়। তারপর এক সপ্তাহ সময়কাল জেলে কাটাননি আনিসুর। তমলুকে আসার পরই তার ঠিকানা তমলুক জেলা হাসপাতালের পুলিস সেল। রবিবার ওই সেলে আনিসুরের একাধিক ভিডিও সামনে আসার পর রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। সেলের ভিতর গদিসাঁটা সোফা। পাশেই একটি চেয়ারে বসে ঠোঁটের কোণে সিগারেট। হাতে ধরা অ্যান্ড্রয়েড ফোন। কানে ব্লুটুথ হেডফোন। 
একজন জেলবন্দি কীভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে, তানিয়ে হইচই শুরু হয়েছে। তাছাড়া মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে তমলুকে আসার পরই আনিসুর কেন হাসপাতালের বিশেষ সুবিধা নিয়ে রয়েছেন, তানিয়েও প্রশ্ন তুলেছে নিহত কুরবানের পরিবার।
কুরবান শাহের দাদা আফজল শা বলেন, আনিসুর রহমান অসুস্থতার অজুহাত দিয়ে সংশোধনাগারের বাইরে তমলুক জেলা হাসপাতালের বিশেষ সুবিধা নিয়ে রয়েছে। আমরা এনিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। হাইকোর্ট তাকে তমলুক জেলা হাসপাতাল থেকে কলকাতার কোনও সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তারপরও তাকে তমলুকে রাখা হয়েছে। একজন বন্দি নিয়মিত মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। সাঙ্গপাঙ্গদের নানারকম নির্দেশ দিচ্ছে। ওই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের উপর নানাভাবে চাপ আসছে। কখনও কোর্টে যাওয়ার পথে অপহরণ করা হচ্ছে, আবার কখনও কোর্ট চত্বরেই কুরবানের স্ত্রীর উপর হামলা হচ্ছে। সবটাই জেলবন্দি আনিসুরের নির্দেশমতো হচ্ছে। পুলিস সুপার অমরনাথ কে বলেন, ওই ভিডিও খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তমলুক উপসংশোধনাগারের অ্যাসিস্ট্যান্ট কন্ট্রোলার সন্দীপকুমার দাস বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।