কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কয়েকদিন আগে আসানসোলের সাইবার থানায় ফোন করেন কুলটির নিয়ামতপুরের এক বাসিন্দা। তিনি জানান, লছিপুর যৌনপল্লি এলাকার সামনে মাথায় সিঁদুরের টিপ দেওয়া বেশ কয়েকজন যুবক ঘুরতে ঘুরতে ফোনে কথা বলছে। ফোনে কাউকে প্রতারণার টোপ দিচ্ছে। এরপরই স্থানীয় পুলিসের সহযোগিতায় ওই গ্যাংকে আটক করেন সাইবার থানার অফিসাররা। পুলিসের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তদের উত্তর শুনে ভিড়মি খাওয়ার জোগাড় তদন্তকারীরা। তারা জানায়, তারাপীঠে পুজো দিয়ে ফিরছে। সব টাকা শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা রোজগার করলেও পুজোর কাজেই তো লাগছে।
ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ জেলার নিরষা থানার পিলটুরিয়ায় তাদের বাড়ি। তাপস রবিদাস, কাঞ্চন রবিদাস ও সুরেশ রবিদাসের বয়স একুশের মধ্যে। তারা তারাপীঠ গিয়েছিল। তারপর কুলটির যৌনপল্লিতে সময় কাটিয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা বললেও পরিকল্পনা ছিল অন্য। পুলিস জানতে পেরেছে, সাইবার অপরাধের এক নতুন প্রযুক্তিকে কাজে লাগাচ্ছিল এই গ্যাং। তাদের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে পুলিস জেনেছে, কুলটি থানার লছিপুর থেকে ফোন করলেও সেই সময় তাদের ফোনের টাওয়ার লোকেশন দেখিয়েছিল জামতাড়ার আশেপাশে। অর্থাৎ তদন্তকারীদের চোখে ধুলো দিতে ফোনের অবস্থানই বদল করে দিচ্ছে তারা। এক্ষেত্রে ভিপিএন সিম ব্যবহার করছিল অভিযুক্তরা। ভার্চুয়াল নেটওয়ার্কিংয়ের মধ্যে চলা এই সিমগুলির সাহায্যে অবস্থান বদল সম্ভব। তাই এক জায়গায় বসে অপরাধ করলেও তার অবস্থান দেখাবে কয়েকশো কিলোমিটার দূরে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রভাবশালীদের অনেক সময়ে নিরাপত্তাজনিত গোপনীয়তার কারণ দেখিয়ে এই ধরনের সিম টেলিকম কোম্পানির মাধ্যমে নেওয়া হয়। এর আরএকটি সুবিধা হল, অনেক সময়েই তদন্তের স্বার্থে এর তথ্য চাওয়া হলেও তা পাওয়া যায় না। এমনই ভিআইপি ভিপিএন সিম কীভাবে সাইবার প্রতারকদের হাতে চলে এল, তা নিয়ে উৎকণ্ঠা বাড়ছে পুলিস মহলে। তাদের কাছ থেকেও পেটিএমের ডেবিট কার্ড উদ্ধার হয়েছে। পুলিসের সন্দেহ, এই ধরনের সিম, ডেবিট কার্ড জামতাড়ার সাইবার অপরাধীদের সরবরাহ করার জন্য বড় একটি চক্র গড়ে উঠেছে। তা না ভাঙতে পারলে, সাইবার অপরাধের পর্দা ফাঁস করা আগামী দিনে আরও কঠিন হয়ে উঠবে।