রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
যে পরিবারের বার্ষিক আয় দেড় লক্ষ টাকা বা তার কম, তারাই ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পে আবেদন করতে পারে। তবে একমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের আবেদনই গৃহীত হয়। বিয়ের ৩০ দিন আগে আবেদন করতে হয়। বিয়ের প্রস্তুতির আনুষঙ্গিক তথ্যও জমা দিতে হয় আবেদনপত্রের সঙ্গে। তারপরেই এই প্রকল্পে এককালীন ২৫ হাজার টাকা আবেদনকারীর অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়। সেই টাকা পেয়েই এই দুঃসময়ে মেয়ের বিয়ে দিচ্ছেন দুঃস্থ পরিবারের কন্যাদায়গ্রস্ত পিতারা। কন্যাদায়গ্রস্ত বাবা-মায়ের মুখে হাসি ফুটিয়ে উচ্চ প্রশংসিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রকল্প। জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা বলেন, রূপশ্রী প্রকল্পে আবেদনকারী প্রত্যেকের আবেদন খতিয়ে দেখে যোগ্যদের অ্যাকাউন্টে তাঁর প্রাপ্য টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমাদের জেলায় এই প্রকল্পে জোর দেওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সাড়ে তিন বছরে মোট ৪৫ হাজার ৮১০টি আবেদন জমা পড়ে। কাগজপত্র খতিয়ে দেখে ৪৩ হাজার ৮৭টি আবেদনের অনুমোদন দেওয়া হয়। তার মধ্যে টাকা পেয়েছেন ৪২ হাজার ১১০জন। ২০১৮-১৯আর্থিক বছরে মোট ১৪ হাজার ৪৯০টি আবেদন জমা পড়ে। তার মধ্যে ১৩ হাজার ৬৮৭টি আবেদনের অনুমোদন দেওয়া হয়। মোট ৩৪ কোটি ২২ লক্ষ টাকা রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া হয়েছে। ১৯-২০ আর্থিক বছরে মোট ১৩ হাজার ২৬৮টি আবেদন জমা পড়ে। তার মধ্যে ১২হাজার ৬৩৬টি আবেদনের অনুমোদন দেওয়া হয়। মোট ৩১কোটি ৫৯লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়।
গত অর্থবর্ষে মোট ১৪ হাজার ৪৬ টি আবেদন পায় জেলা প্রশাসন। তার মধ্যে ১৩ হাজার ৩৩৬ টি আবেদনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মোট ৩৩ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা রাজ্য সরকারের তরফে বিবাহযোগ্যা কন্যাদের দেওয়া হয়েছে। চলতি আর্থিক বছরে সাড়ে তিন মাসে ৪হাজার ৬টি আবেদন জমা ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে। তার মধ্যে ২ হাজার ৪৫১ টি আবেদনের অনুমোদন দিয়েছে প্রশাসন।