বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
ইতিমধ্যেই গোঘাট-২ ব্লকের কামারপুকুর, আরামবাগের আরান্ডি-২, খানাকুল-২ ব্লকের নতিবপুর-২ এ মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন জারি করা হয়েছে। কনটেনমেন্ট জোন জারি করা হয়েছে গোঘাট-১ ব্লকে। পুলিস প্রশাসনের সঙ্গে মহকুমার চারটি ব্লকের আধিকারিকরা দিন ও রাতে পরিদর্শন করছেন এইসব করোনাপ্রবণ এলাকায। চলছে সচেতনতার প্রচার। আসন্ন করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় নেওয়া হচ্ছে আগাম প্রস্তুতি পরিকল্পনা।
সেই প্রস্তুতি উপলক্ষেই আরামবাগ মহকুমাজুড়ে চালানো হচ্ছে জোরদার পুলিসি অভিযান। বৃহস্পতিবার আরামবাগ শহরের বাসস্ট্যান্ড, গৌরহাটি মোড়, রেল স্টেশনের মতো এলাকায় জোরদার পুলিসি অভিযান চালানো হয়। সাধারণ পথচারী, দোকানের বিক্রেতা-ক্রেতা, টোটোচালক ও বাসযাত্রীদের মাস্ক পড়ার জন্য পুলিসের পক্ষ থেকে জানানো হয় আবেদন।
আরামবাগ এসডিও হাসিন জাহেরা রিজভি জানান, করোনার প্রকোপ কমলেও বিপদ একেবারে কাটেনি। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সচেতনতা বাড়াতে পুলিস প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোর দেওয়া হচ্ছে।করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে প্রশাসনের সর্বস্তর চিন্তিত। পুনরায় মানুষকে সচেতন করতে পথে নেমেছে পুলিস। মাস্ক না পরার অভিযোগে বুধবার পুরুলিয়া জেলা পুলিস ১২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওইদিন রঘুনাথপুর, আদ্রা, পুঞ্চা ও পাড়া থানা পাঁচজন করে ২০ জনকে, বরাবাজার, বাঘমুন্ডি, পুরুলিয়া মফঃস্বল, বান্দোয়ান থানার পুলিস ১০ জন করে ৪০ জনকে, ঝালদা থানা ১৪ জন, হুড়া সাতজন, বলরামপুর তিনজন, কেন্দা থানা নয়জন, মানবাজার ১২ জন, বোরো আটজন এবং পুরুলিয়া টাউন থানা ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
করোনা আবহ থেকে সুরক্ষিত থাকতে সচেতনতার প্রয়োজন। মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দুরত্ব রক্ষা এবং নিয়মিত হাত পরিস্কার করোনা রোধের তিন হাতিয়ার। পুলিসের তরফ থেকে সেই বিষয়ে বার বার সচেতন করা হচ্ছে। অভিযোগে, তবু মানুষ অসতর্কভাবে মাস্ক না পরে হাটেবাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাঁদের সচেতন করতেই ধরপাকড়। নিজস্ব চিত্র