কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জেলা প্রকল্প আধিকারিক মহাশ্বেতা বিশ্বাস বলেন, খুব দ্রুত কন্যাশ্রী প্রকল্পের ১৫ কোটি টাকা উপভোক্তাদের অ্যাকউন্টে চলে যাবে। এই অবস্থায় টাকা পেয়ে উপকৃত হবে পড়ুয়ারা। রূপশ্রী প্রকল্পে আবেদন জমা পড়লেই দ্রুত তা যাচাই করে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ভুয়ো তথ্য দিয়ে আবেদন করলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত হয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্প। মিডডে মিল যেমন এক সময় স্কুলছুটের সংখ্যা কমিয়েছিল। তেমনই মেয়েদের স্কুলমুখী করার পিছনে বড় অবদান রয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্পের। কন্যাশ্রী কে-১ প্রকল্পে প্রতি বছর হাজার টাকা ও ১৮ বছর বয়স পেরলে পড়াশোনা চালিয়ে গেলে কে-২ প্রকল্পে পাওয়া যায় ২৫হাজার টাকা। এই অর্থিক অনুদান মেয়েদের বাল্যবিবাহ রোধেও বড় ভূমিকা নিয়েছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি সব হিসেব উল্টে দিয়েছে। রাজ্যের অর্থভাণ্ডারে বিপুল টান পড়েছে। এই অবস্থায় আদৌ রাজ্য সরকার এই প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করতে পারবে কি না তা নিয়ে অনেকেই সংশয়ে ছিলেন। কিন্তু আশঙ্কার মেঘ উড়িয়ে পশ্চিম বর্ধমানের মতো ছোট জেলাতেই কন্যাশ্রী প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছে ১৪কোটি ৫৬লক্ষ ৪৩হাজার টাকা। কিছুদিন আগেই দপ্তরের জেলা অফিসে টাকা এসেছে। দ্রুত তা উপভোক্তাদের আ্যকাউন্টে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কে-১ প্রকল্পে ৩০হাজার ২৬৮জন এক হাজার টাকা করে পাবে। কে-২ প্রকল্পে ৪৬১৫জন ২৫হাজার টাকা করে পাবে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভুল থাকার জন্য যাদের টাকা ঢোকেনি, এবার তারাও টাকা পাবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ হয়েছে। তাই উচ্চশিক্ষায় কিছুটা হলেও আর্থিক সুরাহা দেবে কন্যাশ্রী প্রকল্প। এছাড়া রূপশ্রী প্রকল্পে সাড়ে তিন মাসেই জেলায় ২৫৭৪টি আবেদন জমা পড়েছে। তারমধ্যে ২২১০টি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। টাকা পেয়েছেন ১৭৩৩জন মোট ৪কোটি ৩৩লক্ষ ২৫হাজার টাকা পেয়েছেন। বহু কাজহারা পরিবারের মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম খরচ জুগিয়েছে রূপশ্রী প্রকল্প।
হীরাপুর থানার পাটমোহনা মাধুরী বাউরি বলেন, আমার বিয়ের জন্য বাবা টাকা ধার করেছিলেন। রূপশ্রীর টাকা দিয়ে সেই ধার শোধ করেছি। মুখ্যমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ।