বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি গুরুপদ টুডু বলেন, জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা অজিতপ্রসাদ বাউরি, বিজেপি সদস্য মানিক কুমার, কংগ্রেসের সদস্য রাজীব কুমার সাহু এবং তনুশ্রী বাউরি এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এছাড়াও পুরুলিয়া বিধানসভার কংগ্রেসের পরাজিত প্রার্থী পার্থপ্রতিম বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরুলিয়া শহর কংগ্রেসের সভাপতি বিশ্বরূপ পট্টনায়ক, তিনজন প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলার সহ ঝালদার একাধিক কংগ্রেস নেতা তৃণমূলে যোগ দেন।
জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা অজিত বাউরি বলেন, বিজেপি দলটা নোংরা-পচা আবর্জনায় ভরে গিয়েছে। নিজেদের আদর্শ থেকেও সরে গিয়েছে। রাজীববাবু বলেন, কংগ্রেস হাইকমান্ড মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করতে চাইছে না। তাহলে আমরা কেন তৃণমূলের বিরোধিতা করব?
মন্ত্রী বলেন, তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের কাজে শামিল হতেই বিরোধী দলের নেতা কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। এলাকার তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেই যোগদান হয়েছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয়বাবু বলেন, সকলকে নিয়ে একসঙ্গে উন্নয়নের কাজ চলবে।
বিজেপির পুরুলিয়া জেলার সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, যাঁরা বিধানসভা নির্বাচনে দলবিরোধী কাজ করেছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। শাস্তি থেকে বাঁচতেই ওরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। জেলা কংগ্রেসের সভাপতি নেপাল মাহাতর বন্ধ থাকায় তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে, কংগ্রেসের জয়পুর বিধানসভা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান কংগ্রেস নেতা ফণীভূষণ কুমার বলেন, এখন স্বার্থ গোছানোর প্রতিযোগিতা চলছে। সেই প্রতিযোগিতায় নেমেই ওরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। তাতে কংগ্রেস দলে কোনও প্রভাব পড়বে না।