কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ঘাটাল পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারপার্সন বিভাসচন্দ্র ঘোষ বলেন, শিলাবতী নদীর জলস্ফীতির ফলে পুরসভার মোট ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩টি ওয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। ওই সমস্ত ওয়ার্ডে বহু রাস্তার উপর এক গলা পর্যন্ত জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। আমরা প্রত্যেকটি জায়গাতে নৌকার ব্যবস্থা করেছি। তবে এই মুহূর্তে কোনও পরিবারকে উদ্ধার করার মতো পরিস্থিতি হয়নি। খড়ার পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য অরূপ রায় বলেন, শুক্রবার রাত থেকে তাঁদের শহরের ৫, ৬, ৮ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্রায় ৭০টি পরিবার জলবন্দি। তাদের সঙ্গে পুরসভা নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছে।
ঝুমি নদীর জলস্ফীতির ফলে ঘাটাল ব্লকের মনশুকা-১ এবং মনশুকা-২ গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বহু পরিবারের রুমের মধ্যে এক কোমর বা এক বুক জল দাঁড়িয়ে থাকার কারণে তাঁদের বাড়ির ছাদে বা অন্যত্র থাকতে হচ্ছে। গবাদি পশুকে কেউ কেউ ছাদে তুলে রেখেছেন।
ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি দিলীপকুমার মাজি বলেন, শনিবার বিকেল থেকে নদীগুলির জল বাড়ার হার খুবই কম। তাই আশা করছি, আজ রবিবার থেকে জল কমতে শুরু করবে। অন্যদিকে ঝুমি নদীতে স্রোতের পরিমাণ অনেকটা কমে যাওয়ার ফলে ওই নদীতে নৌকা চলাচল করতে শুরু করেছে। ফলে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা ধরে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা ঘাটাল ব্লকের কিছু অংশের মানুষজন তাঁদের প্রয়োজনে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াত করতে পারছেন। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।