রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এমএএমসির হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস ইউনিয়ন প্রথম থেকেই কারখানা খোলার নানা চেষ্টা চালাচ্ছে। ২০০২সালে কারখানাটি বন্ধ হয়। পরে কারখানা খোলার জন্য ডিভিসি, কোল ইন্ডিয়া ও বিইএমএলকে নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশে একটি কনসোর্টিয়াম গঠিত হয়। ১০০কোটি টাকার বিনিময়ে তারা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে বন্ধ কারখানার মালিকানা নেয়। এর মধ্যে বিইএমএলের ৪৮শতাংশ ও ডিভিসি এবং কোল ইন্ডিয়ার ২৬শতাংশ করে অংশীদারিত্ব রয়েছে। কনসোর্টিয়াম তৈরির পর থেকে এক দশক ধরে কারখানা খোলা নিয়ে টালবাহানা চলে। ২০১৯ সাল থেকে দেশের কয়লা খনিগুলিতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে পোল্যান্ড সহ নানা দেশ থেকে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি এনে তা খনিতে নামানো হয়।
বিষয়টি সামনে রেখে শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অসীম চট্টোপাধ্যায় ক্রমাগত সংস্থাগুলির কাছে দরবার করতে থাকেন। একদা খনি অঞ্চলের যন্ত্রাংশ তৈরিতে খ্যাতি অর্জন করা এমএএমসিতেই অত্যাধুনিক ওই মেশিনগুলির যন্ত্রাংশ তৈরির দাবি ওঠে। তারই প্রেক্ষিতেই কোল ইন্ডিয়া চিঠি দিয়ে অসীমবাবুকে বিষয়টি জানায়। লং ওয়াল মাইনিং, কনটিনিউয়স মাইনারস ও সারফেস মাইনারস এই তিনটি অত্যাধুনিক মেশিনই এখন বিশ্বের উন্নতশীল দেশগুলি খনি অভ্যন্তরে কয়লা কাটায় ব্যবহার করছে। খুব অল্প সময়ে প্রচুর পরিমাণ কয়লা কেটে উৎপাদনের নজির গড়ে এরা। দেশ সহ রাজ্যে ইসিএলের কয়েকটি খনিতেও এমন মেশিন নেমেছে। একইভাবে এই যন্ত্রাংশের চাহিদাও বিশ্ব ও দেশের বাজারে তুঙ্গে। এই অবস্থায় বিইএমএলের উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে শুধু এমএএমসি নয়, দুর্গাপুরের শিল্প মানচিত্রে পরিবর্তন ঘটত। কিন্তু কেন্দ্রের বিলগ্নিকরণই এখন কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্গাপুরে। অসীমবাবু বলেন, আমরা রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করব তারাও যেন এনিয়ে কেন্দ্রের উপর চাপ সৃষ্টি করে। তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন দাসু বলেন, বিজেপি সরকার যে বাংলা বিদ্বেষী তা আরও একবার প্রমাণ হল। দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই এপ্রসঙ্গে বলেন, আমরা সরকারে এলে দ্রুত কারখানা খোলার উদ্যোগ নিতাম। এমএএমসি খোলার সম্ভবনা থাকলে দ্রুত সেবিষয়ে আমি কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়ের কাছেই আর্জি জানাব।