কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম অশোক বেতাল(৫৫)। তাঁর বাড়ি ধুলিয়াপুরে। বুধবার স্নান করতে নেমে তিনি নদে তলিয়ে যান। এদিন পুলিসের বিপর্যয় মোকাবিলা দল সিমলাপাল ও মেদিনীপুরের সীমানা এলাকায় তাঁর দেহ উদ্ধার করে বলে জানিয়েছেন খাতড়ার এসডিপিও কাশীনাথ মিস্ত্রি।
তবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের জেরে এদিনও বাঁকুড়ার বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। মেজিয়ার রেল কলোনি এলাকায় কয়েকটি বাড়ি জলবন্দি হয়ে পড়ে। বড়জোড়ায় বেশ কয়েকটি পাড়া এখনও জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। এদিন বড়জোড়ার বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায় জলমগ্ন এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন। মেজিয়ার বিডিও অনিরুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নিচু এলাকা বলে জল জমে যাওয়ার খবর পেয়েছিলাম। পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।
বিষ্ণুপুরের উলিয়াড়া, দ্বারিকা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দ্বারকেশ্বর নদের তীরবর্তী এলাকাগুলিতে জল বাড়ার আশঙ্কায় প্রশাসন মাইকিং করে। কোতুলপুরে বিভিন্ন নিচু এলাকা পরিদর্শন করেন কর্তারা। সেখানে গ্রামবাসীদের সতর্ক করা হয়।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ৫০৬টি বাড়ি জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারমধ্যে ৫৮টি বাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত দু’দিন ধরে জেলায় আটটি ত্রাণ শিবির চালানো হচ্ছে। ২৬৫জনকে সেখানে রাখা হয়েছে। ৫০৫জন দুর্গতকে উদ্ধার করে নিরাপদে নিয়ে যাওয়া হয়। বাঁকুড়া পুরসভায় দু’টি, শালতোড়ায় দু’টি, ইন্দাসে একটি, কোতুলপুরে দু’টি ও জয়পুরে একটি ত্রাণ শিবির করা হয়েছে। সেগুলি থেকে অবশ্য অনেকেই বাড়ি ফিরছেন।
বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক(সাধারণ) প্রলয় রায়চৌধুরী বলেন, নদীগুলিতে জলস্তর নামছে। তাছাড়া নিচু এলাকাতেও জল নামতে শুরু করেছে। জেলায় প্রায় সাড়ে চার হাজার ত্রিপল বিলি হয়েছে। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।