কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
বাঁকুড়ার জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার বলেন, কৃষকবন্ধু প্রকল্পে জেলায় ২লক্ষ ৯৪হাজার ৬৫৪জন চাষি আর্থিক সহযোগিতা পাবেন। জমির পরিমাণের ভিত্তিতেই চাষিরা দু’দফায় টাকা পাবেন।
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরেই রাজ্যের ঘোষণা মতো জেলায় কৃষকবন্ধু চলছে। প্রথমদিকে প্রায় ১৮হাজার চাষি এই প্রকল্পে আওতাভুক্ত হলেও পরে তার আবেদন সংখ্যা বেড়ে হয় তিন লক্ষ। তবে চলতি ২০২১-’২২ আর্থিক বর্ষে বাঁকুড়ার ২ লক্ষ ৯৪ হাজার ৬৫৪জন চাষি এই প্রকল্পে সুবিধা পাবেন। কৃষিদপ্তর সূত্রে খবর, বাঁকুড়ায় তিন লক্ষ ৮০হাজার ১১১জন চাষি রয়েছেন। তবে অনেকেই এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারেননি। অনেকের জমির মিউটেশন সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে।
জানা গিয়েছে, আগে এই প্রকল্পে এক একর জমির ভিত্তিতে চাষিরা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা দু’টি দফায় পেতেন।
এছাড়া সর্বনিম্ন বছরে দু’টি দফায় দু’ হাজার টাকা করেও দেওয়া হতো। কিন্তু, এবার বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকবন্ধু প্রকল্পে চাষিদের আর্থিক সাহায্য বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন। সেইমতো তিনি তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন এই কৃষকবন্ধু প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। তাঁর ঘোষণা মতোই চাষিদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রথম দফায় সরাসরি পাঁচ হাজার ও দু’ হাজার করে টাকা ঢুকে যাবে।
কৃষিদপ্তর জানিয়েছে, যাঁদের এক একর বা তার বেশি জমি রয়েছে, তাঁদের প্রথম দফায় পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হবে। আর যাঁদের এক একরের কম জমি রয়েছে, তাঁদের প্রথম দফাতে দু’হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। সরকারি ওই আর্থিক সাহায্য কৃষিকাজেই লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছে কৃষিদপ্তর।
চাষের মরশুম শুরু হওয়ার আগেই চাষিরা নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ভাতা পাওয়ায় খুশি হয়েছেন। তালডাংরার নাচনার চাষি ভক্তরঞ্জন ঘোষ বলেন, কৃষকবন্ধুর ভাতা গত বছর পেয়েছি। টাকা ঢোকার মেসেজ এবার এখনও পাইনি। তবে চাষের সময় এই টাকা আসায় অনেকটাই উপকার হবে।
রাইপুরের পাঁড়রি গ্রামের চাষি গণেশ মাহাত বলেন, গত বছর আড়াই হাজার করে দু’বারে পাঁচ হাজার টাকা পেয়েছি। এবার সেই টাকা আরও বেড়েছে বলে শুনেছি। ওই টাকায় সার কেনা সহ চাষের অন্যান্য কাজে লাগাব। এতে আমরা খুবই উপকৃত হব।
ওইদিন বাঁকুড়ায় ৩১৪জন মৃত চাষির পরিবারের অ্যাকাউন্টে ছয় কোটি ২৮ লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছে। কৃষিদপ্তরের বাঁকুড়ার ডেপুটি ডিরেক্টর সুশান্ত মহাপাত্র বলেন, ৬০ বছরের নীচে বয়স এমন চাষি যাঁরা মারা গিয়েছিলেন, তাঁদের পরিবার আর্থিক ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। পরিবার পিছু দু’লক্ষ টাকা করে রাজ্য সরকার দিয়েছে।