বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার জেলায় ৬৮হাজার ৬৬৪জন চাষির অ্যাকাউন্টে ১৯ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। জেলায় কৃষকবন্ধু পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত মোট চাষির সংখ্যা ৮লক্ষ ৮৪হাজার ৬১০। বাকি চাষির অ্যাকাউন্টে শুক্রবার থেকে টাকা ঢুকেছে। কয়েক দফায় ওই টাকা ঢুকবে। পূর্ব মেদিনীপুরের চাষিদের অ্যাকাউন্টে মোট ২৫৫ কোটি ৯৫ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এর আগে কৃষকবন্ধু প্রকল্পে জমির পরিমাণ অনুযায়ী বছরে দু’টি মরশুমে চাষের জন্য সর্বনিম্ন দু’হাজার থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হতো। এবার থেকে সেটা বেড়ে চার হাজার থেকে দশ হাজার টাকা হয়েছে। খরিফ মরশুমের জন্য চাষিদের অ্যাকাউন্টে দু’হাজার-পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। আবার রবি মরশুমে সমপরিমাণ টাকা পাবেন চাষিরা।
গত ২৬ মে সাইক্লোন যশের জেরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় চাষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিল, সব্জি, মুগ, ফুল, পান, বাদাম প্রভৃতি চাষে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা দীর্ঘ। জেলায় ৩১০০ মৌজার মধ্যে ৩৮৩টি মৌজাকে কৃষিতে ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে ঘোষণা করেছেন জেলাশাসক। ওইসব মৌজার প্রত্যেক চাষি এসডিআরএফ(স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফান্ড) থেকে এক হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন। আগামী জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে জেলায় প্রায় এক লক্ষ চাষির অ্যাকাউন্টে এক হাজার টাকা করে ঢুকবে। জেলায় প্রায় ৪২হাজার হেক্টর জমিতে নোনাজল ঢুকে যাওয়ায় এবার খরিফ মরশুমে চাষের পরিমাণ কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। উপকূল এলাকায় এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি।
সাইক্লোন এবং মহামারী পরিস্থিতিতে এমনিতেই গ্রামীণ অর্থনীতি শোচনীয়। খরিফ মরশুমে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের টাকা পেয়ে ভীষণ খুশি জেলার চাষিরা। এগরা-১ ব্লকে ৪৩ হাজার, এগরা-২ ব্লকে ৩৯ হাজার, পটাশপুর-১ ব্লকে ৪০ হাজার, পটাশপুর-২ ব্লকে ৩৫ হাজার, ভগবানপুর-১ ব্লকে ৪৬ হাজার, ভগবানপুর-২ ব্লকে ৩৫ হাজার, পাঁশকুড়া ব্লকে ৪৮ হাজার, নন্দকুমারে ৪৬হাজার এবং তমলুক ব্লকে ৪২ হাজার চাষি কৃষকবন্ধু স্কিমের আওতায় আছেন। প্রত্যেকেই খরিফ মরশুমে অনুদান পাচ্ছেন।
পটাশপুর-১ ব্লকের অমর্ষি-১ পঞ্চায়েতের শৌলাভেড়ি গ্রামের প্রভাত মান্না, আগরপাড়া গ্রামের উমাপদ সাউ প্রমুখ বলেন, কৃষকবন্ধু প্রকল্পের টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তুলে ধান রোয়ার আগে সার কিনে নিই। বর্তমানে রাসায়নিক সার এবং কীটনাশকের দাম আকাশছোঁয়া। সরকারি অনুদানের টাকায় চাষের অপরিহার্য ওই দু’টি জিনিস সংগ্রহ করে নিই। আমাদের মতো প্রত্যন্ত এলাকার চাষিদের কাছে এই টাকার গুরুত্ব অনেকখানি। কৃষিদপ্তরের সহ অধিকর্তা(শস্য সুরক্ষা) মৃণালকান্তি বেরা বলেন, রাজ্যের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক চাষি কৃষকবন্ধু স্কিমের আওতায় আছেন। খরিফ মরশুমে আমাদের জেলায় আড়াই লক্ষাধিক হেক্টর জমিতে চাষ হয়। চাষিরা ওই স্কিমের অর্থ চাষের প্রস্তুতির কাজে ব্যবহার করেন।