গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বাহিরচড়া গ্রামের অধিকাংশ মানুষই কৃষিজীবী ও তাঁত শ্রমিক। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ভাগীরথী নদী। ইতিমধ্যে ওই এলাকায় নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, যদি এভাবে ভাঙন চলতে থাকে তবে গ্রামের খেলার মাঠ থেকে শুরু করে স্কুলবাড়ি, মসজিদ, বসতবাড়িও ভাগীরথীর গ্রাসে চলে যাবে।
গ্রামের বাসিন্দা তথা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্বশিক্ষক মুজাফ্ফর আহমেদ বলেন, পাঁচ বছর ধরে এই ভাঙন বেশি শুরু হয়েছে। গত এক বছর ধরে নদী ভাঙতে ভাঙতে প্রায় জনবসতি এলাকার কাছাকাছি চলে আসছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনিক আধিকারিকদের বারবার জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত কোনও ব্যবস্থা না নিলে গোটা গ্রামই নদীগর্ভে চলে যাবে।
বাহিরচড়ার ঘোষপাড়ার বাসিন্দা জীবন ঘোষ বলেন, নদী তীরবর্তী এলাকায় আমাদের চার বিঘা চাষের জমির মধ্যে তিন বিঘা নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। এভাবে বৃষ্টি চলতে থাকলে অবশিষ্ট জমিও থাকবে না।
ফকিরডাঙা-ঘোলাপাড়া পঞ্চায়েতের প্রধান তৈয়ব আলি শেখ বলেন, ঘোষপাড়া, কাদার বিল এলাকায় এই বর্ষায় ভাঙন চলছে। বিষয়টি আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
ওই পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা গৌতম ঘোষ বলেন, এই অঞ্চলে বেশ কয়েক বছর ধরেই ভাঙন চলছে। কয়েকদিন ধরে অতি বর্ষণ ও নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে পাড় ভাঙছে। বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসী খুবই চিন্তিত।
নবদ্বীপের বিডিও বরুণাশিস সরকার বলেন, সেচদপ্তর ইতিমধ্যেই ওই এলাকা পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি ওরা নজরে রেখেছে। ওই অঞ্চলে প্যাচ ওয়ার্কের কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে।