গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গত বছরের ১৪ জুলাই স্বর্ণবন্ধকী সংস্থায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সংস্থার কর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে একটি ঘরে বন্ধ রেখে ২ কেজি ২০৫ গ্রাম ২০ মিলিগ্রাম সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয় পাঁচ-ছ’জনের একটি দল। লুট করা সোনার মূল্য ১৪ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা। পালানোর সময় বাধা পেয়ে এক ব্যক্তিকে গুলি করে ডাকাত দলটি। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে সিআইডি ডাকাতিতে বুধনের জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে পারে। তামিলনাড়ুর হাডকো থানা এলাকায় একটি স্বর্ণবন্ধকী সংস্থায় ডাকাতির ঘটনায় বুধন সহ কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়। খবর পেয়ে তামিলনাড়ুতে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। পরে বর্ধমান আদালতে পেশ করে তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়। চার্জশিটে সিআইডি জানিয়েছে, ডাকাত দলটি উত্তর ২৪ পরগনার বাগুইআটি থানার কেষ্টপুরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে বেশ কিছুদিন ছিল। দালালের মাধ্যমে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে বুধন সেখানে বাড়ি ভাড়া নেয়। বর্ধমানের স্বর্ণবন্ধকী সংস্থায় ডাকাতির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ কেষ্টপুরের বাড়ির মালিককে দেখানো হয়। তিনি বুধনকে শনাক্ত করেন। ডাকাতিতে একটি বাইক ব্যবহার করা হয়। সেটি হাওড়ার ডোমজুড় থানার সলপের একটি গ্যারেজ থেকে কেনে বুধন। সেখানেও সে ভুয়ো পরিচয়পত্র জমা দেয়। গ্যারেজের রেজিস্ট্রারে তার সই ছিল। সেই সইয়ের সঙ্গে তার হাতের লেখার নমুনা মিলিয়ে দেখা হয়। তাতে মিল পাওয়া গিয়েছে। ডাকাতিতে ব্যবহৃত বাইকটি ওড়িশার ভুবনেশ্বর থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বুধনই ডাকাত দলটির মূল পাণ্ডা। তার সঙ্গে আরও পাঁচজন ডাকাতিতে জড়িত ছিল বলে চার্জশিটে জানিয়েছে সিআইডি। তাদের নামও সিআইডিকে দিয়েছে বুধন। টিআই প্যারেডে তাকে ঋণবন্ধকী সংস্থার কর্মীরা শনাক্ত করেছেন। চার্জশিটে ৪৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।