রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
মূলত করোনার গেরোতে পড়েই এই ভার্চুয়াল জামাইষষ্ঠী। অনেকের জামাই কর্মসূত্রে ভিন জেলা, রাজ্য বা বিদেশে আছেন। কার্যত লকডাউনের ফলে এই জামাইষষ্ঠীতে তাঁরা শ্বশুরবাড়ি আসতে পারেননি। অনেকে আবার করোনার বিধি নিষেধকে মান্যতা দিতেও এবছর জামাইষষ্ঠীর মতো সামাজিক অনুষ্ঠানেও বাড়ির বাইরে বের হতে চাননি। মূলত তাঁদের মধ্যে অনেকেই এবার স্মার্টফোনের মাধ্যমে জামাইষষ্ঠী সারার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ঘাটাল শহরের নিশ্চিন্তপুরের বাসিন্দা এক শাশুড়ি বীণা আদক বলেন, আমার মেয়ের গত অগ্রহায়ণ মাসে বিয়ে হয়েছে। মেয়ে জামাইয়ের সঙ্গে দেরাদুনে থাকে। খুব ইচ্ছে ছিল প্রথম জামাই ষষ্ঠীটা ঘটা করে করব। কিন্তু লকডাউনের জন্য ওরা দুজনের কেউই আসতে পারেনি। খুবই মন খারাপ হচ্ছিল। তাই স্মার্টফোনের মাধ্যমেই জামাইষষ্ঠী সারলাম। ক্ষীরপাই শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কান্তা ঘোষ বলেন, আমার মেয়ের দেড় বছরের কিছু বেশি হল বিয়ে হয়েছে। জামাই সৌদি আরবে থাকে। গতবারেও লকডাউনের জন্য জামাইষষ্ঠী করতে পারিনি। ভেবেছিলাম এবারে করব। কিন্তু তাও হল না। তাই ফোনের মাধ্যমেই জামাইকে ফোঁটা দিলাম।
তবে ভার্চুয়াল ফোঁটায় আয়োজনও কম হয়নি। টেবিলে মালা চন্দন সব কিছু রেখেই জামাইকে ভিডিও কল করা হয়। ভিডিও কলে জামাইয়ের মুখ ভেসে আসতেই জামাইয়ের কপাল লক্ষ্য করে চন্দনের ফোঁটা পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশ থেকে শঙ্খধ্বনিও দেওয়া হয়। আর টেবিলেই প্লেটে সাজানো ছিল জামাইকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন মিষ্টান্ন ও ফলমূল।
তবে এই ধরনের ষষ্ঠীকে অনেকে বিদ্রুপের চোখেও দেখেছেন। কিন্তু যাঁরা ফোঁটা দিয়েছেন এবং ফোঁটা নিয়েছেন তাঁরা কিন্তু পরিতৃপ্তই। দাসপুর গঞ্জের বাসিন্দা মুম্বাইয়ের এক স্বর্ণশিল্পী তুফান দাস বলেন, আমি মুম্বইতে আছি। আমাকেও শাশুড়ি চন্দ্রকোণা থেকে ফোনে ফোঁটা দিয়েছেন। যাঁরা এটা নিয়ে হাসাহাসি করছেন তাঁরা এর ভাবাবেগটাই উপলব্ধি করতে পারছেন না।