রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে। বাসিন্দারা বলেন, সবটাই সম্ভব হয়েছে ওই বৃদ্ধার সাহসিকতার জন্যই। তাঁকে কুর্নিশ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা। বিষ্ণুপুরের আইসি শান্তনু মুখোপাধ্যায় বলেন, পিয়ারডোবায় ডাকাতি করতে আসা পাঁচ দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পুলিস সেলে ভর্তি করা হয়েছে। চারটি বোমা উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের এবং গাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
স্থানীয় বাঁকাদহ গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান বাসন্তী নায়েক বলেন, এলাকায় চুরির ঘটনা বেড়েছে। কিছুদিন আগে আমার বাড়িতেও চুরি হয়েছে। সুমিদেবীর সাহসিকতার জন্যই ওই দুষ্কৃতীরা ধরা পড়েছে। এই বয়সে তাঁর ওই কাজকে কুর্নিশ জানাতেই হয়। সাহসিকতার পুরস্কারের জন্য তাঁর নাম সুপারিশ করব।
স্থানীয় বাসিন্দা বিন্দুসার টুডু বলেন, এলাকায় চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় আমরা রাতে পাহারা দিচ্ছিলাম। সেই সময় নাচনজাম গ্রামের বাসিন্দারা ফোন করে আমাদের জানান, আট-১০ জনের একটি দল ছোট হাতি গাড়িতে করে আমাদের দিকে আসছে। ওরা আটকানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, পারেনি। সেই মতো পিয়ারডোবা রেলস্টেশনের দক্ষিণ ফটকের কাছে গাড়িটি থামানো হয়। অসংলগ্ন কথাবার্তা বলায় চালককে আটক করতেই বাকি দুষ্কৃতীরা গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে রেল লাইন পেরিয়ে পশ্চিমপাড়ায় ঢুকে যায়। কিছুক্ষণ পরে সেখানকার বৃদ্ধা সুমি কিস্কু প্রথমে একজনকে ধরেন। খবর পেয়ে পুলিস আসে। খোঁজাখুঁজির পর আরও দু’জনকে বাঁশগাছ থেকে এবং একজনকে গোয়ালঘর থেকে ধরা হয়।
পিয়ারডোবার পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা সুমিদেবী মাটির বাড়িতেই থাকেন। আট বছর আগে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। বাড়িতে তিন ছেলে ও বউমা এবং নাতি-নাতনিরা রয়েছে। ঘটনা প্রসঙ্গে সুমিদেবী বলেন, রাত তখন সাড়ে ১১টা হবে। সবে বিছানায় শুয়েছি। এমন সময় রেললাইনের দিক থেকে হই হট্টগোল শুনতে পাই। দরজা খুলে সামনে দাঁড়াতেই চোর চোর বলে চিৎকার শুনি। হঠাৎ দেখি, একজন যুবক আমার বাড়ির দিকে দৌড়ে আসছে। আমি তখনই উঠানে নেমে তাকে জাপটে ধরি। সে হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করে। ধস্তাধস্তির সময় টাল সামলাতে না পেরে দু’জনেই কাদামাটিতে পড়ে যাই। তাতে সামান্য চোট পেলেও হাত শক্ত করে ধরে চিৎকার করি। ওই অবস্থাতেই চোরটি একটি বোমা বের করে মাটিতে আছাড় মারে। কিন্তু, কাদা মাটি হওয়ায় তা ফাটেনি। এভাবে প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে ধস্তাধ্বস্তি চলে। তারপরে ছেলেরা ও প্রতিবেশীরা এসে দুষ্কৃতীদের ধরে উত্তমমধ্যম দেয়।