পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন সকাল থেকেই পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের দোমোহিনী নদীর জল সেতুর উপর দিয়ে বইতে শুরু করে। ফলে বান্দোয়ানের ধাদকা এবং কুমড়া পঞ্চায়েত এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বুধবার কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে রঘুনাথপুর মহকুমা এলাকা। বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার ফলে রঘুনাথপুর শহরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড এবং রেলশহর আদ্রার বেনিয়াশোল এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বাসিন্দাদের বাড়িতে জল ঢুকে পড়ে। খবর পেয়ে রঘুনাথপুর মহকুমা প্রশাসনের সিভিল ডিফেন্স টিম, দমকল কর্মী এবং তৃণমূলের কর্মীরা দুর্গত এলাকায় যায়। বৃষ্টির জেরে রঘুনাথপুরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকানন্দপল্লির একটি ছোট সেতুর একাংশ ভেঙে যায়। রঘুনাথপুর-চেলিয়ামা, চেলিয়ামা-করগালি রাস্তার সেতুগুলির উপর দিয়ে জল বইতে থাকে। সাঁতুড়ির গাংপুর থেকে মুরাডি রেল স্টেশন যাওয়ার রাস্তায় হাঁটুর উপরে জল বইতে থাকে। ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
বাঁকুড়ায় দ্বারকেশ্বরের উপরে থাকা মীনাপুর, ভাদুল প্রভৃতি এলাকার কজওয়ে ডুবে যায়। গন্ধেশ্বরীর মানকানালি সেতুর উপর জল বইছে। সতীঘাটে অস্থায়ী রাস্তা ভেসে গিয়েছে। এরফলে শহরের সঙ্গে গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। বৃষ্টির জেরে বাঁকুড়া পুরসভার ১৩, ১৬, ১৮ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের একাংশ জলমগ্ন হয়ে পড়ে। মালপাড়ার বাসিন্দা অর্চনা মালের কাঁচা বাড়ি মঙ্গলবার রাতে ভেঙে যায়। কানকাটা এলাকায় জলের তোড়ে একটি সাঁকো ভেঙে যায়। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলায় প্রায় ২০৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কালিন্দী পাড়ায় প্রায় ২৫টি বাড়িতে জল ঢুকে যায়। তার ফলে সেখানকার বাসিন্দাদের সরিয়ে একটি লজে নিয়ে যাওয়া হয়। বাঁকুড়া সদরের মহকুমা শাসক সুশান্তকুমার ভক্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। স্থানীয় বাসিন্দা টিয়া কালিন্দী, বুবাই মালিক বলেন, রেলের তরফে একটি ঢালাই রাস্তা হচ্ছে। কিন্তু জল নিকাশির নালা তৈরি করা হয়নি। তার ফলে বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। এই প্রথম এলাকা জলমগ্ন হল। বাড়িতে থাকা সমস্ত আসবাব নষ্ট হয়েছে।
পুরসভার প্রশাসক অলোকা সেন মজুমদার বলেন, ‘শহরের বেশকিছু ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়েছে। কয়েকটি মাটির বাড়ি ভেঙেছে। প্রয়োজন মতো ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। সংসদ সদস্য সুভাষ সরকার শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে রেলকে দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা করিয়েছেন। তার ফলে সেখানকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’ উত্তরে সুভাষবাবু বলেন, রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর রেল কাজ করে। পুরসভার উচিত সেখান থেকে জল বের করার ব্যবস্থা করা। অন্যায়ভাবে দোষারোপ করা হচ্ছে।
আরামবাগ মহকুমার খানাকুলের কাকনানে রূপনারায়ণ জলের তোড়ে একটি কাঠের সেতু ভেসে গিয়েছে। বৃষ্টির পাশাপাশি ডিভিসি থেকে ১৭হাজার কিউসেক জল ছাড়ায় দ্বারকেশ্বরের জলস্তর অনেকটাই বেড়েছে। বুধবার আরামবাগ ও খানাকুল থানার পক্ষ থেকে নদী তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের সতর্ক করা হয়।