বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
বজ্রাঘাত থেকে রেহাই পেতে দামিনী অ্যাপের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। গুগল প্লে স্টোর থেকে ওই অ্যাপ ইনস্টল করা যায়। ২০বর্গ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে বাজ পড়ার ১৫মিনিট আগে সিগন্যাল দেবে ওই অ্যাপ। ঠিক কোন এলাকায় বাজ পড়বে তা জানিয়ে দেয়। বাজ পড়ার ১০থেকে ১৫মিনিট, ৫থেকে ১০মিনিট এবং ০থেকে ৫মিনিটের মধ্যে তিনবার সঙ্কেত দেয় দামিনী। জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দপ্তর ওই অ্যাপ প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং ব্লক ও গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের সরকারি অফিসার ও কর্মীদের মোবাইলে ইনস্টল করে মানুষজনকে সতর্ক করার পরামর্শ দিয়েছিল। এই সতর্কতার মধ্যেও বাজ পড়ে মৃত্যু বেড়েই চলেছে। তাই এবার সরাসরি সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে এনিয়ে সচেতন হওয়ার পাঠ দেবে বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দপ্তর।
মে-জুন মাসে সাধারণত বেশি বাজ পড়ে। আকাশে মেঘ জমলেই যাতে মানুষজন মাঠঘাট থেকে তড়িঘড়ি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন সেব্যাপারে সচেতন করা হবে। আধ ঘণ্টার কাজের থেকে জীবনের দাম অনেক বেশি। এটাই শিবির করে এনজিও টিমের মাধ্যমে তুলে ধরবে প্রশাসন। গতবছর বাজ পড়ে জেলায় সাতজন ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন। এবছর মে-জুন মাসেই সাতজনকে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হয়েছে। গত ৭জুন একসঙ্গে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। ওইদিন পাঁশকুড়ার মাইসোরা পঞ্চায়েতের রাজশহর গ্রামে বিয়ের ২৪দিনের ব্যবধানে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আবার ময়না থানার গোড়ামহালে ২৫বছর বয়সি তিন সন্তানের মায়ের মৃত্যু হয়েছে। পান বরজ, তিল চাষের জমি থেকেই ফেরার পথে তাঁদের মৃত্যু হয়। তাই মেঘের গর্জন শুরু হলে ফসল তোলার জন্য মাঠে ছুটে যাওয়া কিংবা মাঠে থাকার পরিবর্তে তাড়াতাড়ি বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া জরুরি। জেলাজুড়ে শিবির করে এটাই প্রচারে আনতে চাইছে জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দপ্তর।