পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত ১৪জুন অজয় নদীতে জল বেড়ে ভেঙে যায় কজওয়ে। ফলে বীরভূমের সঙ্গে পশ্চিম বর্ধমানের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা যোগাযোগের জন্য একটি অস্থায়ী বাঁশের সেতু তৈরি করে তার উপর দিয়ে যাতায়াত করতেন। এমন বিপজ্জনকভাবে পারাপার করতে গিয়েই এদিন দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রশাসনের কাছে এখবর যেতেই ওই সেতু বন্ধ করে দেওয়া হয়। নজরদারি চালাতে ঘটনাস্থলে পুলিস মোতায়েন করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার জয়দেবের ফেরিঘাট লাগোয়া কজওয়েটি বর্ষায় জল বাড়ায় অজয়ের স্রোতে ভেসে যায়। এই অবস্থায় স্থানীয়রা যাতায়াতের জন্য বাঁশের সেতু তৈরি করেন। বুধবার সকালে ওই সেতুতেই বিপত্তি ঘটে। বাইক নিয়ে বাবা ও ছেলে এদিন সেতু পার হওয়ার সময় সেটি ভেঙে পড়ে। বাইক সহ দু’জনই তলিয়ে যান। যদিও স্থানীয় মানুষ ও জয়দেব ফাঁড়ির পুলিসের তৎপরতায় তাঁরা প্রাণে বেঁচে যান। তবে বাইকগুলি তলিয়ে যায়। জলের তীব্র স্রোতের জন্য সেগুলি উদ্ধার করা যায়নি। বিষয়টি জানতে পেরে জেলা প্রশাসন ও পুলিস সেতুটি বন্ধ করে দেয়।
এব্যাপারে ইলামবাজারের বিডিও মহম্মদ জসিমউদ্দিন মণ্ডল বলেন, প্রশাসনের নজর এড়িয়ে বেআইনিভাবে বাঁশের সেতু তৈরি করে পারাপার চলছিল। দুর্ঘটনার কথা জানতে পেরে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। এরপরই ইলামবাজার থানার সাহায্যে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি নতুন করে যাতে আর কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমান প্রশাসন এলাকার উপর নজর রাখছে। ওই এলাকা দিয়ে দুই জেলার বহু ব্যবসায়ী সহ নানা পেশার মানুষ যাতায়াত করেন। তাঁদের আর্থিক বিষয়টিও আমাদের নজরে রয়েছে। তাই শীঘ্রই টেন্ডার ডেকে ওই জায়গা দিয়ে নৌকা চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রতি বছরই ওই কজওয়েটি জলের তোড়ে ভেঙে পড়ে। ফলে জয়দেব ফেরিঘাট ব্যবহারকারীদের প্রায় ৩৫-৪০কিলোমিটার ঘুরপথে যেতে হয়। বর্ষায় তাঁদের সময় ও আর্থিক ক্ষতি হয়।