পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আত্মশাসনের ফলে কার্যত স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল এই তীর্থস্থান। আর তাকে ঘিরে স্থানীয় মানুষদের রোজগার ঠেকেছে তলানিতে। বক্রেশ্বর মন্দির উন্নয়ন কমিটির সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে মন্দির বন্ধ রাখা হয়েছিল দীর্ঘদিন। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মন্দির খোলা হয়। কিন্তু এবার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ক্ষেত্রে মন্দির কমিটির তরফে নিজেদের উদ্যোগেই সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কায় বন্ধ করে দেওয়া হয় পুণ্যার্থীদের জন্য মন্দির। শুধুমাত্র নিয়মরক্ষায় আরতী এবং ভোগ রান্না সেবা পুজো অবধি খোলা রাখা হতো মন্দির। তাই সংক্রমণের হার এখন অনেকটা কমে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের কথা ভেবে সোমবার থেকে মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয় পুণ্যার্থীদের জন্য। তবে মন্দিরে প্রবেশ করতে গেলে পূণ্যার্থীদের মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। মুখে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক। মন্দিরের গর্ভগৃহে একসঙ্গে পাঁচজনের বেশি প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। পুণ্যার্থীদের বজায় রাখতে হবে নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব। মন্দির কমিটির অনুমোদিত এই মন্দিরের মোট সেবাইত রয়েছে ৬০ থেকে ৭০ জন। কিন্তু করোনা আবহে সমস্ত সেবাইত মন্দিরে প্রবেশ করবেন না। গোটা মন্দির পরিচালনার জন্য ১০ থেকে ১৫ জন সেবাইত মন্দিরে প্রবেশ করবেন। বক্রেশ্বর মন্দির উন্নয়ন কমিটির সভাপতি দেবনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা মন্দির কমিটি নিজেদের সিদ্ধান্তে মন্দির বন্ধ যেমন করেছিলাম তেমনি সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় সোমবার থেকে মন্দির খোলা হল। এখন যেহেতু বহিরাগত পুণ্যার্থীরা আসতে পারবেন না তাই জামাইষষ্ঠীতে খুব বেশি ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা নেই। স্থানীয় পুণ্যার্থীরা পূজা দেবেন মন্দিরে। যদিও সর্বাগ্রে আমাদের নজর থাকবে স্বাস্থ্যবিধির ওপর।