কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
লালবাগের আম চাষি হান্নান শেখ বলেন, চাষিরা দাম পাচ্ছেন না। কিন্তু বাজারে হিমসাগর ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে। আম চাষিরা প্রতি বছরই ষষ্ঠীর বাজারের দিকে তাকিয়ে বসে থাকেন। এই কয়েকদিন আমের দাম ভালোই থাকে। বিশেষ করে হিমসাগরের দাম বেশি পাওয়া যায়। এবার ২০টাকার বেশি দাম উঠল না। কয়েকটি বাগানে অবশ্য ২২-২৫টাকা কেজি প্রতি দাম পাওয়া গিয়েছে।
লালবাগের আর এক চাষি সিরাজউদ্দিন শেখ বলেন, এবছর সব ধরনের আমের ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু দাম নেই। বাজারে হিমসাগর ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চাষিরা অর্ধেক দাম পাচ্ছেন না। ভেবেছিলাম ষষ্ঠীর বাজারে দাম পাওয়া যাবে। অধিকাংশ চাষি বাগান থেকে হিমসাগর আম সেই কারণে পেড়ে নিয়েছেন। কিন্তু প্রত্যাশা পূরণ হল না। মুর্শিদাবাদ জেলার উদ্যানপালন দপ্তরের আধিকারিক প্রভাস মণ্ডল বলেন, অন্যান্যবারের তুলনায় এবছর আমের ফলন অনেক বেশি হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া থাকায় আমের স্বাদ বেড়েছে। বিধিনিষেধ আরোপ করায় অন্যান্য জেলায় আম পাঠাতে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। কিন্তু তারপরও অন্যান্য জেলায় মুর্শিদাবাদের সমস্ত ধরনের আম গিয়েছে।
বহরমপুরের বাসিন্দা সুকান্ত মণ্ডল বলেন, এবছর বাজারেও আমের দাম কিছুটা কম রয়েছে। জামাই ষষ্ঠীর সময় হিমসাগর ৫০ টাকার নীচে পাওয়া যায় না। সেই আম এবার ৩০-৩৫টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। বাগানে গেলে আরও দাম কম। মুর্শিদাবাদের বাজারগুলিতে এই ফলের অভাব নেই। চাষিরা বলেন, এবছর প্রত্যাশামতো লিচুর দামও পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অন্য রাজ্যে আম পাঠানো সহজ হতো। সেটা হলে ভালো দাম পাওয়া যেত। কিন্তু তা হয়নি।
তবে চাষিরা দাম না পেলেও অন্যান্যবারের চেয়ে কিছুটা সস্তায় আম কিনতে পেরে খুশি শ্বশুরমশাইরা। এবার একটু বেশি পরিমাণ এই সুস্বাদু আম জামাই বাবাজিদের পাতে তুলে দিতে পারবেন তাঁরা।