কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
করোনার জেরে বিধি নিষেধ থাকায় রাজ্যে চলছে না লোকাল ট্রেন। এর জেরে ফলের আমদানিও কমে যাচ্ছে। জামাই ষষ্ঠীর বাজারে পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন বাজারে ভালো লিচু পাঁচশো টাকায় বিক্রি হয়েছে। বেশিরভাগ বাজারেই লিচুর জোগান কম ছিল। ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১৭০০ থেকে দু’হাজার টাকা কেজি দরে। রুই, কাতলার দরও ছিল ৫৫০ থেকে ৬০০টাকা। তাই জামাইষষ্ঠীর বাজার করতে এসে নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্তের।
এদিন কাটোয়া শহরের বিভিন্ন বাজারে কোথাও সাড়ে চারশো, কোথাও পাঁচশো টাকায় লিচু বিক্রি হয়েছে। কাটোয়া শহরের বড় বাজার, স্টেশন বাজার প্রভৃতি এলাকায় ফল ব্যবসায়ীদের কাছে এবার লিচুর জোগান খুব একটা ছিল না। কাটোয়া শহরের ফল বিক্রেতা অমিত শেখ, স্বপন দাস বলেন, ট্রেনে বিহার, মালদহ, মুর্শিদাবাদ থেকে লিচু আমদানি হয়। কিন্তু লোকাল ট্রেন না চলায় আমদানি নেই। ফলে দামও বেশি। অন্যান্য বছর জামাই ষষ্ঠীর বাজারে লিচু ১০০ টাকার আশেপাশে বিক্রি হয়। এবার তা বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। বর্ধমান শহরের বাজারগুলিতেও একই চিত্র। কাটোয়ায় জাম প্রতিবছর যেখানে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়, এবার তা ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কাটোয়া শহরের বাসিন্দা সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, মিতুন হাজরা বলেন, লিচুর এমন দাম হবে তা কল্পনা করতে পারিনি। এক পিস লিচুর দাম ১৫ টাকা। জামাইয়ের জন্য ২০০ গ্রাম লিচু কিনছি।
অন্যদিকে এদিন পূর্বস্থলীর পাইকারি বাজারে আমের দাম কমে গিয়েছে। পূর্বস্থলী-২ ব্লকের পারুলিয়া ফলের বাজারে হিমসাগর আমের পাইকারি দর ছিল কেজি প্রতি ১৯ থেকে ২০ টাকা। তাছাড়া ল্যাংড়া আম বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২৪টাকা, আম্রপালির দাম নেমেছে ১৫ থেকে ১৭ টাকায়। প্রতি বছর জামাইষষ্ঠীর আগের দিন থেকে শুরু করে আমের ভালোই দাম পান চাষিরা। কিন্তু এবছর চিত্রটা একটু অন্যরকম।
পারুলিয়া বাজারের আড়তদার মদন সাহা বলেন, এবার আমের ব্যাপক হারে ফলন হয়েছে। বিগত কয়েক বছরে এমন আমের ফলন দেখা যায়নি। তাছাড়া অনুকূল আবহাওয়া ছিল। সেই তুলনায় ভিন রাজ্যের পাইকারি ব্যবসায়ীরা না আসায় আমের দাম কমে গিয়েছে। পূর্বস্থলী-২ ব্লকের কাষ্ঠশালি, স্টেশন বাজার, পারুলিয়া, পোলের হাট প্রভৃতি এলাকার বাজারেও আমের দাম কম ছিল।
পূর্বস্থলীর বাসিন্দা আম চাষি গফুর শেখ বলেন, দুর্গাপুর, আসানসোল, রানিগঞ্জ অথবা ধানবাদের আড়তে আমাদের এলাকার আমের চাহিদা বেশি। কিন্তু সেখানকার ব্যবসায়ীরা এবার না আসায় দাম কমেছে। এবার আম চাষ করে লোকসান হয়েছে।